মডেল ও আলোকচিত্রীকে নগ্ন করে কারাগারে
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:৩৬
মিসরের প্রাচীন একটি মন্দিরের সামনে নগ্ন হয়ে ফটোশুট করায় মারিসা পাপেন নামের বেলজিয়ামের এক মডেল ও তার আলোকচিত্রীজেসে ওয়াকারকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুধু তা–ই নয়, ওই মডেল ও তার আলোকচিত্রীকে কারাগারে সবার সামনে এক দিন নগ্ন হয়ে থাকতে বাধ্য করা হয়।
নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশে নগ্ন ফটোশুট করেছেন মডেল মারিসা। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতি না নিয়ে মিসরে ওই প্রাচীন মন্দিরের সামনে নগ্ন ফটোশুট করায় তাদের আটক করে পুলিশ। তারপর আদালতে তোলার আগ পর্যন্ত এক দিন কারাগারের ভেতরে তাদের নগ্ন করে রাখা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মিসরে গিজার পিরামিডের কাছে মারিসার নগ্ন ফটোশুট এর জন্য আগে থেকে অনুমতি নেন নি তারা। তাই নিরাপত্তারক্ষীদের মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে ফটোশুট শুরু করেন তারা। বেশ কিছু ছবিও তোলেন তারা। এরপর একটু এগিয়ে লুক্সোরে কারনাকের প্রাচীন মন্দিরের সামনে লুকিয়ে ছবি তোলার সময় দুই নিরাপত্তারক্ষী তাদের দেখে ফেলেন। পরে তারা মডেল ও আলোকচিত্রীকে আটক করে পুলিশে দিলে পুলিশ তাদের ওই অবস্থাতেই কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বড় ধরনের ঝামেলা এড়াতে মারিসা ও জেসে তখনই কিছু ছবি নিজে থেকে মুছে ফেলেন। তারা ছবি তোলেননি, শুধু ক্যামেরার লাইট ঠিক আছে কি না, তা পরীক্ষা করছেন—এ বললেও পুলিশ তা বিশ্বাস করেনি।
মডেল মারিসা বলেন, ‘আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে মিসরীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমরা এটা করছি। কিন্তু তরা নগ্নতা ও শিল্পের মধ্যে কোনো ধরনের সম্পর্ক বুঝতে নারাজ। তাদের দৃষ্টিতে নগ্ন ফটোশুট পর্নো বা এ ধরনের কিছু। অথচ এই দেশটিই ক্লিওপেট্রাকে নিয়ে গর্ব করে!’
মডেল মারিসার অভিযোগ, পুলিশ তাদের ক্যামেরার মেমোরি কার্ড পরীক্ষা করে কোনো কিছু পায়নি। তারপরও তাদের আটক করে নগ্ন অবস্থায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর এক দিন পর তাদের আদালতে বিচারকের সামনে হাজির করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মারিসা ও জেসেকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করতে সতর্ক করে দিয়ে মুক্তি দিয়েছেন বিচারক। তারা ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করতে সম্মতিও জানিয়েছেন।
তবে আদালত থেকে হোটেলে ফিরে পুলিশের ভয়ে মুছে ফেলা ছবি একটি বিশেষ সফটওয়্যার দিয়ে উদ্ধার করেছে জেসে ওয়াকার। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ারও করেছেন।