এদের কি কখনোই মানুষ হতে ইচ্ছা করে না?
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০১৬, ২৩:০৫
সুফিয়া কামাল ছোটখাট মানুষ ছিলেন। আর তখন আইয়ুবশাহীর দোর্দন্ড প্রতাপ। এখনকার সময়ের সাথে তুলনা করলে বলতে পারেন, আইয়ূব খান থেকে গ্রেইস মাইনাস করলে যা থাকে, তাই আমাদের এখনকার "উনি"। সমান্তরাল সময়। উন্নয়ন বনাম গণতন্ত্র বাইনারি ধরিয়ে দিয়ে এখনকার মতই অসংখ্য বলদদের তুষ্ট করছিলেন তিনি। তার মৌলিক গণতান্ত্রিক নির্বাচন অবশ্য ৫ই জানুয়ারীর চাইতে বেটার ম্যানেজড ছিলো। ছাত্ররা ফুঁসছিলো, অধ্যাপকরা স্বাভাবিকভাবেই দালালি করছিলেন আর "ফ্রেন্ডস, নট মাস্টার্স" এর অনুবাদ করছিলেন সৈয়দ আহসানেরা।
তখন পাকিস্তানের অখন্ডতার কথা বলে বলদদের ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করছিলেন সুশীলেরা। এখন যেমন মুক্তিযুদ্ধ খুব চলে, তখন চলতো অখন্ডতা। খদ্দের ছিলো তৎকালীন বলদেরা, এরা টাইমলেস।
তো, আইয়ূব ঢাকা এলেন, ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন এবং পরবর্তীতে একটা সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদের "হাইওয়ান" বললেন। হাইওয়ান অর্থ পশু। এবং শুনে উপস্থিত সুধী ও চুপ। শুধু সুফিয়া কামাল দাঁড়িয়ে বললেন, "ডিয়ার প্রেসিডেন্ট, ক্যায়া হাইওয়ানকা প্রেসিডেন্ট আউর বাড়া হাইওয়ান নেহী হ্যায়?"
আজ থেকে অর্ধশতাব্দী আগে এই কথা বলা হয়েছিলো একজন জাঁদরেল মিলিটারি ডিক্টেটরের সামনে, উচ্চারণ করেছিলেন একজন বাঙালী নারী। আজকে, পঞ্চাশ বছর পরে স্বাধীন দেশের একটা সংবাদ সম্মেলন দেখলাম, "উনার" সংবাদ সম্মেলন, এবং সম্মেলনের পরে প্রশ্নোত্তরপর্বে সরীসৃপদের প্রশ্নবিহীন হাত কচলাকচলি দেখে মনে হলো, এরা কি শুধুই সাংবাদিক থাকবে, এদের কি কখনোই একটু মানুষ হতে ইচ্ছা করে না? পূর্ববাংলায় একজাক্টলি শেষ কবে সাহসের এইরকম খরা চলছিলো?
এটিএম গোলাম কিবরিয়া'র ফেসবুক থেকে