ধর্ষককে সবাই চিনে নিক
প্রকাশ : ১০ জুন ২০১৮, ১৮:৩০
রাফি আহমেদ নামের একজন মানুষ একটা অসাধারণ কাজ করেছেন। তিনি ইফতারের সময় বাড়ি ফিরছিলেন। মোহাম্মদপুর কলেজ গেটের সিগন্যালের কাছে এসে খেয়াল করলেন পাশের গাড়িতে একটা মেয়ে আর ছেলে ধ্বস্তাধস্তি করছে। ড্রাইভার জ্যামে পড়ে বেকায়দায় পড়েছে। দেখেই মনে হচ্ছে সে শিগগিরই পালাতে চাইছে। হঠাৎ তিনি আবিস্কার করলেন- আসলে মেয়েটাকে ধর্ষণ করছে গাড়ির ভেতরের ওই অমানুষটা! তিনি গাড়ির কাছে ছুটে গেলেন, আরও অনেকেই ছুটে এলো। মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে জানালো- বড়লোক বাবার বখে যাওয়া ওই ছেলে মেয়েটাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়েছে গাড়ির মধ্যে! বদমাশটার মুখ থেকে ভুরভুর করে আসছে মদের গন্ধ।
সবাই মিলে বদমাশটাকে মারলেন, মেয়েটাকে মুক্ত করলেন। ব্যাপারটা এখানেই শেষ হতে পারতো, লোকে ভুলে যেতে পারতো বিষয়টা। কিন্তু ভদ্রলোক ভিডিও করায় পুরো ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে। এই ভিডিও থেকেই অনেকে চিহ্নিত করেছে ধর্ষক অমানুষটিকে। ভিডিওতে ধর্ষিতার মুখ দেখা গেছে দেখা গেছে ধর্ষকের মুখও। আমি চাই ধর্ষিতার মুখটা ব্লার করে দেওয়া হোক, কিন্তু ধর্ষককে সবাই চিনে নিক।
আমি এই ধর্ষকের প্রোফাইল ঘুরে কিছু ছবি পাবলিশ করে দিলাম। আমি জানি এই অমানুষটিকে সমর্থন করার লোক এদেশে কম হবে না, হয়তো কিছুক্ষণ পর ভিক্টিম মেয়েটিকে বেশ্যা, চরিত্রহীন ট্যাগ লাগানো শুরু হয়ে যাবে। ট্যাগ লাগানোর আগেই আমার পক্ষ থেকে এই উপহারটি ধর্ষকটির জন্য থাকলো!
নতুন বাংলাদেশ হবে সমতার বাংলাদেশ, সেই বাংলাদেশে রাফি আহমেদের মতো অসংখ্য মানুষ থাকবে, যে বিপদে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াবে। স্যালুট রাফি আহমেদ। আপনাকে অভিনন্দন!
নিজ দায়িত্বে ধর্ষক রনির ছবি পাবলিশ করে দিলাম। আজ থেকে সে জেনে নিক- নতুন বাংলাদেশে ধর্ষকের ছবি পাবলিশ হবে, ধর্ষক কাঁদবে, পরিবার তাকে ঘৃণা করবে, ত্যাজ্য করবে তার সকল বন্ধু। সকল কলঙ্ককে বিজয়ের মুকুট বানিয়ে ধর্ষিতা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে!
জান্নাতুন নাঈম প্রীতির ফেসবুক থেকে