২৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি শিশু সুমাইয়ার
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০১৭, ১৪:১৫
রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরের বড়গ্রাম থেকে পাঁচ বছর বয়সী সুমাইয়া নিখোঁজ হওয়ার পর ২৩ দিনেও তার সন্ধান পায়নি পুলিশ।
কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি শাহিন ফকির বলছেন, কাছের এক বাড়ির ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় শিশুটিকে নিয়ে বোরকা পর এক নারীর হেঁটে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে। ওই নারী তাদেরই এক সাবেক প্রতিবেশী বলে মেয়েটির পরিবারের ধারণা।
গত ৩ এপ্রিল (সোমবার) বিকাল ৫টায় কামরাঙ্গীর চরের বড়গ্রামে বাসার সামনের রাস্তা থেকে নিখোঁজ হয় স্থানীয় একটি কারখানার কর্মী জাকির হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া। মেয়ের খোঁজে সেদিনই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন জাকির। আর ঘটনার ২২ দিন পর ২৪ এপ্রিল (সোমবার) তিনি কামরাঙ্গীর চর থানায় একটি অপহরণের মামলা করেন।
এত দেরিতে মামলা করার কারণ জানতে চাইলে ওসি শাহিন ফকির বলেন, এই মামলাও তাকে (জাকির) বুঝিয়ে নিয়েছি। সে (জাকির) বলে, মামলা করে কী লাভ, আমার মেয়েকে খুঁজে দেন।
জাকির জানান, বড়গ্রামের যে টিনশেড বাড়িতে তারা ভাড়া থাকেন, তার পাশের ঘরে এক দম্পতি ভাড়া থাকতেন এক সময়। আট মাস আগে তারা অন্য বাসায় চলে যান।
ওসি বলেন, এক সময়ের সেই প্রতিবেশী নারীই সুমাইয়াকে নিয়ে গেছে বলে সন্দেহ করছেন জাকির ও তার স্ত্রী। ওই নারীর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বড়গ্রামে তার বাড়ির তিন ঘর পরেই জাকিরের বাসা। তার বাড়ির ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিওতে কালো বোরকা পরা এক নারীকে দেখা গেছে শিশুটির হাত ধরে হাঁটিয়ে নিয়ে যেতে। জাকিরের ধারণা, ওই বোরকাধারী নারীই তার সাবেক প্রতিবেশী।
এদিকে পুলিশ সদরদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা একেএম কামরুল আহছান জানান, ২৪ এপ্রিল (সোমবার) এক সভায় পুলিশ মহাপরিদর্শক নিজেও শিশুটিকে খুঁজে বের করতে সর্বাত্মক চেষ্টার তাগিদ দিয়েছেন।
কামরাঙ্গীরচরের ওসি শাহিন ফকির বলেন, আমরা সব ধরণের তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি। বিভিন্ন জায়গায় অভিযানও চালানো হচ্ছে।