চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই শিশুর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:১৮

জাগরণীয়া ডেস্ক

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৌর এলাকার নামোশংকরবাটী ফতেপুর মহল্লায় পরনের স্বর্নালঙ্কারের জন্য খুন হওয়া দুই শিশু সুমাইয়া খাতুন মেঘলা (৭) ও মেহজাবিন আক্তার মালিহার (৬) হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে নিহত দুই শিশুর পরিবারের সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা। পরে তারা এই দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাশক কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচীতে সংহতি জানায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও ব্যক্তি। সকাল থেকেই কর্মসূচীতে যোগ দেয়ার জন্য নামোশংকরবাটি এলাকায় শতশত অংশগ্রহনকারী জড়ো হতে থাকেন। পরে তারা ২ কিলোমিটার পথ বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এসে মানববন্ধন করে।

এ সময় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নিহত শিশু সুমাইয়ার মা কুলসুম বেগম, পিতা মিলন রানা, মালিহার পিতা আব্দুল মালেক, শিশু দুটি যে বিদ্যালয়ে পড়ত সেই ছোটমনি বিদ্যা নিকেতনের অধ্যক্ষ খাইরুল ইসলাম, ওই এলাকার পৌর কাউন্সিলর সিদ্দিকা সিরাজুম মুনিরা, এলাকাবাসী জুয়েল রানা প্রমূখ।

বক্তরা নৃশংসভাবে দুই শিশু হত্যার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। তারা দ্রুত নিষ্ঠুর এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী সকল অপরাধীদের ফাঁসি ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।

উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে খেলতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় নামোশংকরবাটী ফতেপুরের পাশপাশি দুই বাড়ির দুই শিশু সুমাইয়া খাতুন মেঘলা ও মেহজাবিন আক্তার মালিহা। ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের প্রতিবেশী ভ্যানচালক ইয়াসিন আলীর প্রবাসী ছেলে মো. ইব্রাহীমের স্ত্রী লাকী আক্তারের (২২) ঘরের খাটের নীচ থেকে দুই শিশুর বস্তাবন্দী মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত লাকী আক্তার সহ ৫ জনকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে। লাকী আক্তার শিশু দুটির গলা ও কানে থাকা সোনার গহনার জন্য তাদের খুন করেছে বলে ১৬৪ ধারায় আদালতে বিচারকের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। ওই গয়নার ক্রেতা এলাকার স্বর্ণকার মিজানুর রহমান পলাশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সেও লাকী আক্তারের নিকট থেকে শিশু দুটির গয়না কেনার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাজহারুল ইসলাম।

ভ্যানচালক ইয়াসিন আলীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। তদন্তে এর সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাবার পর যত দ্রুত সম্ভব চার্জশীট দেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত