রাউদার মৃত্যুতে সহপাঠীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০১৭, ১৭:৪০
রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের মেডিকেল ছাত্রী মালদ্বীপের আন্তর্জাতিক মডেল রাওদা আতিফের মৃত্যুর ঘটনায় তারই এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তার বাবা চিকিৎসক মোহাম্মদ আতিফ।
আতিফের আইনজীবী কামরুল মনির জানান, সোমবার রাজশাহীর মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে দায়ের করা এ মামলায় রাওদার সহপাঠী ভারতের কাশ্মিরের মেয়ে সিরাত পারভীন মাহামুদকে আসামি করা হয়েছে। রাওদা ও মামলার আসামি সিরাত উভয়ই ওই কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
আইনজীবী মনির বলেন, "আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য শাহ মখদুম থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে সিরাত ফলের রসের সঙ্গে মিশিয়ে রাওদাকে ঘুমের বড়ি খাওয়ান। ওই দিন রাওদা বিষয়টি তার মাকে জানান। এছাড়া কাউকে না জানিয়ে সিরাত একাই রাওদার কক্ষে গিয়ে লাশ নামানোর কথা সবাইকে জানিয়েছেন। এসব কারণে রাওদাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবারের সন্দেহ।”
আদালত চত্বরে রাউদার বাবা চিকিৎসক মোহাম্মদ আতিফ সাংবাদিকদের বলেন, আমি ফরেন্সিক বিভাগেরও পড়াশোনা করেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমার মনে হয়েছে রাওদার গলায় যে দাগ রয়েছে তা ওড়না পোঁচানোর দাগ নয়, সেটা দড়ির দাগ। আমার মেয়ে রাওদাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই।”
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের অক্টোবরে ভারতের ‘ভোগ’ সাময়িকীর নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সংখ্যায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মডেলদের নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ‘বৈচিত্র্যের সৌন্দর্য উদযাপন’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে ছিলেন মালদ্বীপের মডেল ‘নীল নয়না’ রাওদাও।
গত ২৯ মার্চ রাজশাহীতে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেলে রাওদাকে মৃত পাওয়া যায়। লাশ উদ্ধারের পরের দিন থেকে রাওদার পরিবারের সদস্যরা রাজশাহীতে অবস্থান করছেন।
তার মৃত্যুর কারণ খুঁজতে রাজশাহী আসেন মালদ্বীপের দুই পুলিশ কর্মকর্তা, মোহাম্মদ রিয়াজ ও আহমদ আলী। তারা রাওদার পরিবার, সহপাঠী, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও রাজশাহীর পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন।
রাওদাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রথম থেকেই সন্দেহ করে আসছে তার পরিবার। এ কারণে তার লাশ রাজশাহীতেই দাফন করা হয়।