‘শিক্ষার্থীদের ফেরাতে অভিভাবকদের সহযোগিতা চাই’
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০১৮, ১৪:৪২
আন্দোলনরত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ফেরাতে অভিভাবকসহ সবার সহযোগিতা চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
৪ আগস্ট (শনিবার) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিনামার যৌক্তিকতা খুঁজে পেয়েছি। তাদের প্রতিবাদের কণ্ঠকে স্বাগত জানিয়েছি। এখানে কোনো গোপনীয়তা নেই। তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশকারীরা আন্দোলনে ঢুকেছে। তবে তাদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখছে গোয়েন্দা বাহিনী।
তিনি আরও বলেন, যারা শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরতে বলেছেন, তাদের শুভবোধকে স্বাগত জানাই। তবে যারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢুকে রাজনীতির বিষবাষ্প দিতে চেয়েছেন, এর মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়, এদের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবির ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ৯টি দাবি আমলে নিয়ে সরকার তা বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এর মধ্যে দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় আন্ডারপাস করার কাজ শুরু হচ্ছে, এটি সেনাবাহিনী করছে। স্পিডব্রেকারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে রাম্বলস্ট্রিটও করা হবে। ফিটনেসবিহীন সব গাড়ির রুট পারমিট বাতিল করা হবে, এরইমধ্যে কাজও শুরু করেছে বিআরটিএ। এখন শান্তির স্বার্থে আমরা এই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের সহযোগিতা চাই।
এক প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, শঙ্কায় চালকরা গাড়ি নিয়ে সড়কে নামতে চাইছে না, আমরা নামাতে চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কের জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের বাম পাশে বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময় জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের রেষারেষিতে বাস চাপায় ঘটনাস্থলেই শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মিম ও আব্দুল করিমের মৃত্যু হয়। এছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর থেকেই নিরাপদ সড়কসহ ৯ দফা দাবীতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।