জুয়ার টেবিলে ৫ স্ত্রীকে বাজি সৌদি রাজপুত্রের

সৌদি আরব কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বাদশা, বাদশাপুত্রদের নিয়ে এমন ঘটনা আগেও বহুবার ঘটেছে। তবে বর্তমানে তা কমেছে অনেকাংশে। সেই পুরনো বাজে সংস্কৃতির খবর যেন আবারো সামনে এনে দিলেন সৌদি রাজপুত্র মাজেদ বিন আবদুল্লাহ বিন আবদুলাজিজ আল সৌদ।

তার স্ত্রীর সংখ্যা মোট ৯ জন। যার মধ্যে জুয়ায় বাজি ধরে হারালেন পাঁচজনকে! কীভাবে হারলেন! সৌদি আরবের এই আলোচিত রাজপুত্র সিনাই প্রদেশের গ্র্যান্ড ক্যাসিনোয় ছ’ঘণ্টা ধরে জুয়া খেলছিলেন। মাদকের নেশায় হুঁশ খুইয়ে তাঁর ধন-সম্পত্তির সমস্তটা বাজি রেখেছিলেন। কিন্তু ভাগ্য সঙ্গে ছিল না। নিমেষে উড়ে যায় তার বাজি ধরা ১.৩৫০ বিলিয়ন রিয়াল।

বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ আড়াই হাজার কোটি টাকার মতো। এরপরও তিনি জুয়ায় অর্থ বিনিয়োগ করতে চান। কিন্তু কানাকড়ি কিছুই না থাকায় শেষপর্যন্ত নিজের ৯ স্ত্রীদের বাজি রেখে খেলা শুরু করেন। এক-এক করে পাঁচ স্ত্রীকেও খোয়ান মাজেদ। বিলাসবহুল জীবনযাপন ও নানা কেলেঙ্কারির জন্য বিশ্বখ্যাত মাজেদ।

ওই ক্যাসিনোর মালিক আলি শামুন জানিয়েছেন, পাঁচ স্ত্রীকে বিক্রি করে ২৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৬১ কোটি টাকা) পেয়েছিলেন মাজেদ। তারপর পাঁচ স্ত্রীকে এক ব্যক্তির দিকে ঠেলে দিয়ে ফের জুয়া খেলায় মনোনিবেশ করেন। এর আগে অনেকে নিজের ঘোড়া, উট, বাড়ি বাজি ধরে জুয়া খেলেছেন। পরে আবার অর্থ দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এই প্রথম কেউ স্ত্রীদের বিক্রি করলেন এবং পরে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করলেন না।

মিশর থেকে সৌদি আরবে ওই পাঁচ যুবরানিকে কীভাবে ফেরত পাঠাবেন সেই চিন্তাই এখন কুড়েকুড়ে খাচ্ছে শামুনকে। তবে আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সৌদি রাজ পরিবারের কেউ ফের ওই পাঁচ স্ত্রীকে কিনে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন বলেও ক্যাসিনোর কয়েকজন কর্মী জানিয়েছেন।

তা না হলে কয়েক মাসের মধ্যে ওই নারীদের ইয়েমেন, কাতারে নিলাম ডেকে বিক্রি করে দেওয়া হবে। যদিও সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এমন ঘটনায় দ্রুত দেনা মিটিয়ে নারীদের ফিরিয়ে আনার বন্দোবস্ত করা হবে। 

সূত্র: ইন্ডিয়া ডটকম, রেডিট, হোক্স অ্যালার্ট