নির্বাচনী বিতর্কেই যাচ্ছেন না টেরিজা মে
প্রকাশ : ০১ জুন ২০১৭, ১৫:০১
আগের একটি নির্বাচনী বিতর্কে ভালো ফল না করতে পারার পর যুক্তরাজ্যের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত আরেকটি বিতর্ক অনুষ্ঠানে অংশই নেননি দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টির নেতা টেরিজা মে।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দলের নেতাদের নিয়ে ওই বিতর্কের আয়োজন করে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। স্থানীয় সময় বুধবার (৩১ মে) যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ শহরে ওই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে বিতর্কে অংশ না নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলের সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছেন টেরিজা মে। যদিও বেশ প্রাণবন্তভাবেই বিতর্কে নিজের ও দলের অবস্থান তুলে ধরেছেন লেবার নেতা জেরেমি করবিন।
এর আগেও ফক্স নিউজ ও চ্যানেল ফোরের একটি সরাসরি নির্বাচনী বিতর্ক এড়িয়ে গিয়েছিলেন টেরিজা মে। তার বদলে তিনি ও লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন আলাদাভাবে ওই অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন। কারণ, মে-র ধারণা ছিল, এতে তিনি সুবিধা পাবেন। কিন্তু প্রশ্নোত্তর পর্বে মে থেকে জেরেমি করবিনই ভালো করেছেন বলে মন্তব্য করেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ধারালো প্রশ্নের জন্য খ্যাত সাংবাদিক জেরেমি প্যাক্সম্যান।
এর পরই টেরিজা মে বিবিসির ৯০ মিনিটের ওই বিতর্ক অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। ফলে ‘টেরিজা মে পালিয়েছেন’ বলে মন্তব্য করেন অনেকেই। এ ছাড়া তাঁর সাহসে ঘাটতি আছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
তবে বিতর্কে অংশ নেন কনজারভেটিভ পার্টির আরেক নেতা অ্যাম্বার রুড। তিনিও বেশ অসন্তুষ্ট মের অনুপস্থিতিতে। মে-কে খোঁচা দিতেই রুড বলেন, ‘ভালো একজন নেতা হলে গেলে অবশ্যই ভালো একটা দল থাকতে হবে।’
এদিকে নির্বাচনী বিতর্কে মে’র থাকা না-থাকা নিয়ে মাথা ঘামাননি লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। এ নিয়ে তিনি কোনো ধরনের আক্রমণাত্মক কথাও বলেননি; বরং তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রুডের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন।
এমনকি বিতর্কের একপর্যায়ে মে’র অনুপস্থিতি নিয়ে করবিনের মতামত জানতে চাওয়া হয়। তখনো বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে নিজের নেতৃত্বের গুণাবলিগুলো তুলে ধরেন তিনি।
বিতর্কে উপস্থিত না থাকার বিষয়ে অবশ্য মুখ খুলেছেন মে। বিরোধীদের সঙ্গে ঝগড়া করার থেকে জনগণের মধ্য থেকে নির্বাচনী প্রচার চালাতেই বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করেন বলে জানান তিনি।