'ফার্স্ট লেডি হওয়া জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্মান'

টানা দুই মেয়াদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিচালনা করা বারাক ওবামার সঙ্গী হয়ে থাকা ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা একে জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্মান বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু আর কয়েকটা দিন পরেই ছেড়ে দিতে হবে হোয়াইট হাউস, থাকবে না এ খেতাব ও সম্মান। বিদায়ের আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে শেষ আনুষ্ঠানিক ভাষণে সাংবাদিকদের সামনে আসেন মিশেল। এসময় কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন মিশেল ওবামা, বাধ মানেনি চোখের জলও।

মিশেলের বক্তব্যে উঠে আসে, পেছনের সময়ের নানা অভিজ্ঞতার কথা। উঠে এলো ভবিষ্যতে কী করবেন সে প্রসঙ্গের বিষয়গুলোও। যুক্তরাষ্ট্রকে আরও এগিয়ে নিতে করণীয়সহ নাগরিকের দায়িত্বের কথা তুলে ধরেন তিনি। অভিবাসীদের এক হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

মিশেল বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র বৈচিত্র্যের দেশ। যা একটি গর্ব। সেই বৈচিত্র্য আমাদের ধর্ম-বর্ণ-জাতি ও বিশ্বাসের বৈচিত্র্য। এটি কখনও আমাদের জন্য হুমকি নয়। এর মধ্য দিয়েই এতো উন্নত হয়েছে দেশ, আগামীতেও হবে"।

মিশেল তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, "তরুণরাই আগামীর পৃথিবীর মূল প্রাণ। তাদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের তরুণদের জন্য বলবো কোনোভাবেই নিজেকে কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করার কোনো কারণ নেই, কাজ করে যেতে হবে- এতে অবদান আসবেই। স্বপ্নপূরণ হবেই"।

ফার্স্ট লেডির পদ থেকে সরে গেলে কী করবেন এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "ফার্স্ট লেডি হওয়াটা ছিল আমার জীবনের সব থেকে বড় সম্মানের। হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরও আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে সামাজিক কার্যক্রমগুলো চালিয়ে নেবো। মানুষের জন্য স্বেচ্ছা কাজ করবো"।

চলতি মাসের ২০ তারিখই হোয়াইট হাউসে শেষ দিন বারাক, মিশেল ও তাদের দুই কন্যার। সেখানে এরপর উঠবেন নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার পরিবার।