যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুকে ভুয়া খবর ছড়ালেই জরিমানা

প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৬:২১

জাগরণীয়া ডেস্ক

মার্কিন নির্বাচন নিয়ে ভুয়া খবর ছড়ানোর ফলে বেশ ঝামেলায় পড়েছে ফেসবুক। ইতোমধ্যে ভুয়া খবর ছড়ানোর বিরুদ্ধে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে। ভুয়া খবর ও হোক্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই জার্মান সরকার ভুয়া খবর ঠেকাতে একটি আইন প্রণয়নের কথা জানিয়েছে।

ওই আইন অনুযায়ী, সমস্যা সৃষ্টিকারী প্রতিটি পোস্ট যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুছে ফেলা না হয়, তবে ফেসবুককে পাঁচ লাখ ইউরো করে জরিমানা দিতে হবে।

রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) আইরিশ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বার্লিন সরকার পরিষ্কার করে বলেছে যে তারা আর স্ব-নিয়ন্ত্রণে আগ্রহী নয়। বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটিকে ভুয়া খবর ও বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা, আলোচনা করা ও হুমকি দেওয়া হলেও তাতে কাজ হয়নি।

জার্মানির ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস (এসপিডি) দলের নেতা থমাস ওপারম্যান বলেন, ফেসবুক অভিযোগ ব্যবস্থাপনা যথাযথ নিয়ন্ত্রণের সুযোগটি নেয়নি।

প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের দীর্ঘ ও আন্তরিক প্রচেষ্টার পর এসপিডি ও জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) জোট নতুন বছরে নতুন আইন প্রণয়নে সম্মত হয়। 

নতুন আইন জার্মানিতে সক্রিয় সব ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এর জন্য ভুয়া খবর বা অনলাইন বিদ্বেষের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সার্বক্ষণিক আইনি যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

বর্তমানে জার্মানির সব ফেসবুক ব্যবহারকারীকে ডাবলিনের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ জানাতে হয়। এতে ব্যবহারকারী তাঁর অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের স্বচ্ছ ধারণা ও সময় জানতে পারেন না।

আইন অনুযায়ী, ভুয়া খবরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি আসল খবর প্রচারের মাধ্যমে সমানসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানোর বিষয়টির নিশ্চয়তা চাইতে পারবেন।

গত নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনের সময় ভুয়া খবর ছড়ানোর অনুমতি দিয়েছে ফেসবুক—এমন অভিযোগ উঠেছে। গত  ১৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ ধরনের ভুয়া খবর ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছে। ভুয়া খবর দেখলে ব্যবহারকারীদের ফ্ল্যাগ দেখাতে বলা হয়, যা পরবর্তী সময়ে থার্ড পার্টির মাধ্যমে পরীক্ষা করবে ফেসবুক। এর মধ্যে এবিসি নিউজ, এপি, ফ্যাক্ট চেক ডটওআরজি, পলিটিফ্যাক্ট ও স্নোপস—এই পাঁচটি এজেন্সি দিয়ে ভুয়া খবরের সত্যতা যাচাই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

তথ্যসূত্র: আইএএনএস।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত