আলেপ্পো থেকে লোক সারানোর প্রক্রিয়া শুরু
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৬:৫৬
পূর্ব আলেপ্পোর বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত অংশ থেকে অবরুদ্ধ লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া ফের শুরু হয়েছে, ইদলিবে বাস পোড়ানোর ঘটনার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল প্রক্রিয়াটি।
জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে পূর্ব আলেপ্পোর বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত অবরুদ্ধ অংশগুলো থেকে বাস ও অ্যাম্বুলেন্স বহরে করে এলাকা ত্যাগ করেছেন অন্তত ৩৫০ জন। পশ্চিমে সরকারি বাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকার দিকে গেছেন তারা।
এর আগে ওই দিন সকালে ইদলিব শহরের কাছাকাছি পাঁচটি বাস পুড়িয়ে দেয় বন্দুকধারীরা। এসব বাস সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত কিন্তু বিদ্রোহীদের দ্বারা অবরুদ্ধ ফোয়াহ ও কেফ্রাইয়া নামের দুটি শিয়া প্রধান গ্রামের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য রওয়ানা হয়েছিল। এ ঘটনার জেরে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের পরস্পরের অবরুদ্ধ অংশ থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া।
সম্প্রতি সিরিয়ার সরকারি বাহিনী পূর্ব আলেপ্পোর বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত অধিকাংশ এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে। তবে এখনও বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়ে গেছে শহরটির ওই অংশের বিচ্ছিন্ন কয়েকটি অংশ। মূলত বিদ্রোহীরা আটকা পড়ে গেছে সেখানে।
সরকারি পক্ষের ব্যাপক বোমাবর্ষণে এসব এলাকার বেসামরিক লোকজন আশ্রয় হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে রয়েছেন। খাবার ও চিকিৎসা বঞ্চিত এসব মানুষ ও অস্ত্র ত্যাগের মাধ্যমে বিদ্রোহী যোদ্ধারা ওই এলাকা ত্যাগ করতে পারবে বলে সরকার পক্ষ ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সমঝোতা হয়।
কিন্তু বিদ্রোহীদের অবরোধের মধ্যে থাকা সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করার সরকারি দাবির মুখে শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপক্ষের প্রাথমিক সমঝোতা ভেস্তে যায়। পরে বিদ্রোহীরা এ প্রস্তাব মেনে নিলে দুপক্ষের মধ্যে নতুন করে একটি সমঝোতা হয়। কিন্তু বাস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ফের বিপর্যয় ঘটে।
বাস পোড়ানোর জেরে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। কিন্তু রাতে পূর্ব আলেপ্পো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া শুরু হলে কেটে যায় সেই অনিশ্চয়তা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পাঠানো এক ইমেইল বার্তায় জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া ফের শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, স্থানীয় সময় রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১টায় পূর্ব আলেপ্পো ছাড়তে শুরু করে লোকজন।
ওদিকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া সমন্বয়কারী চিকিৎসকদের একটি দলের প্রধান আহমদ আল দবিস জানিয়েছেন, ফোয়াহ ও কেফ্রাইয়া ছেড়ে আসা সরকারপন্থি লোকজনকে নিয়ে পাঁচটি বাস বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত খান আল আসাল এলাকায় পৌঁছেছে।