মৌমিতার মৃত্যু নিয়ে রহস্য
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৮:০৯
সকালে রোজকার মতোই কলেজে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বের হন আইনের ছাত্রী মৌমিতা বিশ্বাস (২২)। বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) রাতেই তার বাড়িতে খবর পৌঁছায়, কল্যাণীতে রাস্তার ধারে মৌমিতার নিথর গুলিবিদ্ধ দেহ পাওয়া গেছে।
পুলিশ কর্মীর মেয়ে খুনের তদন্তে নেমে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে। তার স্বামী নিখিল এবং বাসু নামে আর এক যুবককে জেরা করে পুলিশ এসব তথ্য পেয়েছে।
নিহতের পারিবারের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০১৫ সালের নভেম্বরে মৌমিতার বিয়ে হয় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার টিটাগড় থানা এলাকার বস্ত্র ব্যবসায়ী নিখিল সেনের সঙ্গে। কিন্তু মৌমিতা-নিখিলের দাম্পত্য সুখের হয়নি। মাস ছয়েক পর থেকেই তাদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়।
স্বামী ও তার পরিজনদের বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে একই জেলার খড়দহে নিজের বাড়িতে চলে আসেন মৌমিতা।
নিখিল সেনের অবশ্য অভিযোগ, মৌমিতার একাধিক পরকীয়া ছিল এবং সেই কারণেই তাদের দাম্পত্যে টানাপড়েন শুরু হয়।
তারা বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে এগোচ্ছিলেন বলে নিখিল পুলিশকে জানিয়েছেন। তবে তিনি নির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।
মৌমিতার বাবা বিমান বিশ্বাস পুলিশ কর্মী। তিনি খড়দহ থানায় কর্মরত এবং খড়দহেই থাকেন। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসার পর থেকে মৌমিতা বাবার সঙ্গে খড়দহেই থাকতেন।
পরে কলেজে যাতায়াতের সুবিধার জন্য মৌমিতা কল্যাণীতে পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতে শুরু করেন।
তিনি যে কল্যাণীতেই গিয়েছিলেন, পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পরে নিশ্চিত। কিন্তু, পুলিশের দাবি, সে দিন কলেজ বন্ধ ছিল।
বাসুর সম্পর্কে পুলিশ বিস্তারিত জানায়নি। তবে ঘটনার দিন মৌমিতা বাসুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল বলে পুলিশের কাছে খবর রয়েছে।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা