রাখাইন রাজ্যে দিনের বেলা ধোঁয়ার কুন্ডলী
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০১৬, ১৭:১৮
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অভিযানের ভয়ে পালিয়ে প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে রোহিঙ্গারা। টেকনাফের স্থানীয়রা বলছেন, সীমান্ত রক্ষীদের কড়া প্রহরা সত্ত্বেও গোপনে প্রবেশ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে তাদের। টেকনাফে মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদী। তার পাড়েই উলুবনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও মৎস্য ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ শিকদার। মি. শিকদারের বাড়ি থেকে সীমান্তের ওপারে পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত দেখা যায়।
বাংলাদেশের সীমান্তে থেকে তারা দেখতে পাচ্ছেন দিনের বেলা ধোঁয়া উঠছে, তাদের ধারণা সেখানে বাড়ি ঘরে আগুন দেয়া হচ্ছে। মাঝে মাঝে হেলিকপ্টার দেখা যাচ্ছে।
তবে সীমান্তে তাদের 'পুশব্যাক'ও অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সর্বশেষ ১২৫ জনকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
মি. শিকদার বলেন "কিছু লোক বিজিবি কে ফাকি দিয়ে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছে। কঠোর প্রহরায় রয়েছে বিজিবি। তারপরেও রাতের অন্ধকারে ফাঁক ফোকর দিয়ে কিছু লোক কিন্তু এখনও ঢুকে যাচ্ছে বাংলাদেশে"।
ব্যবসা'র কারণে যারা বাংলাদেশে আসছেন তাদের কাছে থেকে জানতে পারছেন কিছু বাড়ি ঘর জালিয়ে দেয়া হয়েছে মিয়ানমারে, টার্গেট করে গুলি করে মারা হয়েছে কিছু লোককে। মেয়েদের ধর্ষণের খবরও পেয়েছেন তারা।
বাংলাদেশের সীমান্ত খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
এদিকে আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের অবস্থাকে নরকের সঙ্গে তুলনা করে বলছেন, গত প্রায় দেড় মাস ধরে সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে কমপক্ষে সাড়ে তিনশো জন নিহত হয়েছে।