পুরনো ফ্রিজ এর ভেতর মানুষের লাশ!

প্রকাশ : ০৪ জুন ২০১৬, ১৭:৪৮

জাগরণীয়া ডেস্ক

প্রতিবেশীর কাছ থেকে ৩০ ডলারে একটি পুরনো ফ্রিজ কিনেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী। কিন্তু  তার ভিতের মানুষের মৃতদেহের খণ্ডাংশ আবিষ্কার করে হতভম্ব হয়ে পড়েন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার গোল্ডসবরোতে। খবর এনডিটিভির।

এক প্রতিবেশী তার গ্যারেজে জমা হওয়া পুরনো জিনিসপত্র বিক্রি করার সময় ফ্রিজটি কিনেছিলেন ওই নারী। 

প্রতিবেশীর কাছ থেকে কিনে আনার পরও তিনি ফ্রিজটি খুলেননি। কারণ ওই প্রতিবেশী তাকে জানিয়েছিলেন, ফ্রিজটিতে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য জিনিসপত্র রাখা আছে, ফ্রিজটিকে তিনি ‘টাইম ক্যাপসুল’ হিসেবে ব্যবহার করেন। ক্লাসের প্রজেক্ট হিসেবে এই ‘টাইম ক্যাপসুলটি’ বানানো হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ওই প্রতিবেশী।

ফ্রিজের ক্রেতা নারী বলেন, “গির্জার লোক এসে ফ্রিজ খুলে ভিতরের জিনিপত্রগুলো নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ভিতরের জিনিসগুলো নেওয়া হলে আমি ফ্রিজটি ব্যবহার করতে পারবো। কিন্তু গির্জার লোক আর না আসায় আমি ফ্রিজটি খোলার সিদ্ধান্ত নেই।” 

কিন্তু ফ্রিজ খোলার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই নারী। “আমার হৃদপিণ্ড আমার গলার কাছে চলে এসেছিল, এক দৌড়ে আমি বাইরে বের হয়ে আসি তারপর ৯১১-তে কল করি,” বলেন তিনি।

৯১১-তে ফোন করে তিনি বলেন, “আমি ভয়াবহ সমস্যার মধ্যে পড়েছি। আমার প্রতিবেশী আমার কাছে একটি ডিপফ্রিজ বিক্রি করে গেছে। আমি সেটি খোলার পর সেখানে একটি লাশ দেখতে পেয়েছি”।

ওই নারী জানিয়েছেন, তার ধারণা তার প্রতিবেশীর বৃদ্ধ মায়ের লাশ এটি। তিনি বলেন, “সে আমাকে তার জমাট বাধা মাকে ৩০ ডলারে বিক্রি করে গেছে। এ রকম ঘটনার কথা আর শুনেছেন?”

ঐ নারী জানান, প্রতিবেশীর ওই মা তার কন্যার সঙ্গে কয়েক বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু গেল সেপ্টেম্বর থেকে ওই বৃদ্ধাকে আর দেখা যায়নি। প্রতিবেশীর মা সম্পর্কে ঐ নারী বলেন, “কী ভালো মানুষ ছিলেন তিনি। শান্ত, নিরীহ, সারাদিন বাসায় থাকতেন। কি অবিশ্বাস্য! সেই মাকে ফ্রিজে ভরে রেখে পালিয়ে গেল!”।

ফ্রিজটির ভিতরে মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। মায়ের লাশ লুকানোর পেছনে কোনো গুরুতর অপরাধের ঘটনা আছে কীনা, নাকি মায়ের মৃত্যুর পর তা কাউকে জানাতে ব্যর্থ হয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

এদিকে ফ্রিজটি বিক্রি করার পর প্রতিবেশী ওই নারী শহর ছেড়ে চলে যান বলে জানিয়েছেন ফ্রিজটির ক্রেতা।

0Shares
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত