ট্রাম্পকে সরাতে আন্দোলন
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০১৬, ১৬:৫৭
মার্কিনিরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না। এ কারণে ধর্মান্ধ ও ঘৃণা সৃষ্টিকারী ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়াতে নির্বাচনের পর থেকেই দেশটিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
মার্কিন ইতিহাসে জয়লাভের পর কোনো প্রেসিডেন্টের এমন বিক্ষোভের মুখে পড়ার বিষয়টি নতুন অধ্যায়ের যোগ করেছে।
আন্দোলনের ধারবাহিকতায় শুক্রবারও (১১ নভেম্বর)যুক্তরাষ্ট্রের রাজপথে বিক্ষোভ করেছেন ট্রাম্পবিরোধীরা। রাতের আকাশে জ্বলেছে বিক্ষোভের মশাল।
সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে রাজপথ থেকে গলিপথে, চলেছে ভাংচুর এবং পুলিশি ধরপাকড়।
দেশটির মিয়ামি, আটলান্টা, ফিলাডেলফিয়া, নিউইয়র্ক, স্যান ফ্র্যান্সিসকো, অরিগন ও পোর্টল্যান্ডের রাস্তায় শুক্রবার রাতেও হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।
তারা বিক্ষোভ থেকে অভিবাসী, নারী ও মুসলিমবিরোধী বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়া ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবি তুলছেন।
শুক্রবার মিয়ামির বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়ে রাজপথ অবরোধ করেন। এ সময় তারা রাস্তার দুই পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
নিউইয়র্কে ওয়াশিংটন স্কয়্যার পার্ক ও টাম্প টাওয়ারের বিপরীতে অবস্থান নেন অনেক বিক্ষোভকারী। এদিন অবশ্য ধরপাকড় তেমন একটা হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দেশটির বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাম্প বিরোধীদের অনেককেই ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। এদিকে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ দিনে দিনে আন্দোলনে রূপ নিচ্ছে।
নিউইয়র্কের ইউনিয়ন স্কয়ারে বিক্ষোভের জন্য ইতোমধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছেন। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল যাবে ট্রাম্পের বাড়ি, তার কর্পোরেট অফিসেও। আরও রয়েছে অনেক পরিকল্পনা।
নিউইয়র্কে বিক্ষোভের প্রচারণার আয়োজকরা তাদের ফেসবুক পোস্টে আহ্বান জানিয়েছেন, রাস্তায় আমাদের সঙ্গে যোগ দিন! ট্রাম্প এবং তার গোঁড়ামি এজেন্ডা রুখে দাঁড়ান।
কর্মসূচি অব্যাহত রেখে জানুয়ারিতে ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের সময় দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভের চেষ্টা চালানোর পথে হাঁটছেন আন্দোলনকারীরা।
২০ জানুয়ারি ট্রাম্প হোয়াইটহাউসের আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা গ্রহণ করবেন।
বিক্ষোভকারীরা ওই সময়ে লাখ লাখ মানুষের বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিয়েছেন। তখন ওয়াশিংটনের রাস্তায় ১০ লাখ নারীর বিক্ষোভের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ মার্কিনিদের নাগরিক ও মানবিক অধিকারকে ক্ষুণ্ন করবে। অন্যদিকে, নিজের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে পেশাদার বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ বলে অভিযোগ করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।