করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২০,৪৩৮, মৃত ৪২৫
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:৪৫
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া চীনের করোনাভাইরাসে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ৪২৫ জন মারা গেছেন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৪৩৮ জন। করোনাভাইরাস আক্রান্তের প্রভাব এবার চীনের অর্থনীতিতেও পড়া শুরু করেছে। ভাইরাসটির আক্রমণ রোধে মানুষের চলাচলের ওপরও নতুন করে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) চীনে মাত্র ১০ দিনে তৈরি হওয়া হাসপাতালে ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া শুরু হয়েছে।
জাপানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি যাত্রীবাহী জাহাজের এক ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে ভাইরাসটির লক্ষণ পাওয়ায় সে জাহাজের থাকা তিন হাজারেরও বেশি যাত্রীকে কোরেন্টাইনে রাখা যায় কিনা সে ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থাকা বিভিন্ন দেশের লোকজনকে তারা সরিয়ে নিচ্ছে।
ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি প্রথম শনাক্ত করা হুবেই প্রদেশে এরই মধ্যে এক হাজার সজ্জার একটি নতুন হাসপাতাল নির্মাণ করে সেখানে রোগীদের ভর্তি শুরু করেছে এবং প্রদেশটিতে দেড় হাজার সজ্জার দ্বিতীয় হাপপাতালটিও কয়েকদিনের মধ্যে খুলে দেয়া হবে।
এদিকে গোটা বিশ্বে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে চীন সরকার। বেইজিং বলছে, করোনাভাইরাস নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নেতিবাচক। যুক্তরাষ্ট্র জরুরি জনস্বাস্থ্য সতর্কতা জারির পর ঘোষণা দেয়, বিগত দুই সপ্তাহে যেসব বিদেশি চীন ভ্রমণ করেছেন তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেবে না দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়াং বলেন, মার্কিন এই পদক্ষেপ শুধু আতঙ্ক তৈরি করেছে এবং তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছে।
হুয়া চুনিয়াং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ভাইরাস মোকাবিলায় সহযোগিতার পরিবর্তে তারা আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে। প্রথম দেশ হিসেবে চীনা পর্যটকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাসহ দূতাবাস থেকে আংশিকভাবে কর্মী ফিরিয়ে নেয়ার কাজটিও করেছে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই।
অন্যদিকে করোনাভাইরাসের ফলে চীনের পুঁজিবাজারে ধস নেমেছে। প্রায় ১০ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) খুলেছে চীনের শেয়ারবাজার। তবে প্রথম কার্যদিবসেই পুঁজিবাজারে এ ধস লক্ষ করা গেছে।
প্রথম কার্যদিবসেই সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ (এসএসই) কম্পোজিটের সূচক পড়ে গেছে প্রায় আট শতাংশ, যা গত এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ফলে ইতোমধ্যেই বাজার থেকে অন্তত ৩৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হারিয়ে গেছে বলে ধারণা বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
গত ২৪ জানুয়ারি থেকে বন্ধ ছিল সাংহাই ও শেনঝেন স্টক এক্সচেঞ্জ। ছুটির পর প্রথম কার্যদিবসে এ দুটি স্টক এক্সচেঞ্জসহ অন্য পুঁজিবাজারেও সূচক নিম্নমুখী। করোনাভাইরাসের প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে পুঁজিবাজারেও।