১৬টি কুকুরছানা হত্যা, ৫ ছাত্রীকে নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৫৮
কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (এনআরএস) নার্সিং হোস্টেলের সামনে ১৬টি কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় ওই নার্সিং কলেজের পাঁচ ছাত্রীকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে অনেকের দাবি এই পাঁচ ছাত্রীকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হোক।
১৭ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভারতের কেন্দ্রীয় শিশু ও নারী কল্যাণমন্ত্রী এবং পশুপ্রেমী মানেকা গান্ধী ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নার্সিং কলেজ থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন। তা না হলে ওই নার্সিং কলেজের লাইসেন্স বাতিলেরও হুমকি দিয়েছেন তিনি।
ইতোমধ্যে ঐ পাঁচজনের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা ছাত্রীরা হলেন সোমা বর্মন ও মৌটুসি মণ্ডল। তারা এখন কারাগারে।
এদিকে গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারাদেশ এর প্রতিবাদে নার্সিং কলেজের ছাত্রীরা বৃহস্পতিবার সারাদিন বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তারা অবিলম্বে জড়িত ছাত্রীদের মুক্তি দাবি করেন। তা না হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান তারা। তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের সামনে এই পথকুকুরদের জ্বালাতন, কামড় সহ্য করেছেন তারা। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো সত্ত্বেও কোনো সমাধান হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি (রবিবার) দুপুরে নার্সিং হোস্টেলের সামনের ফাঁকা জায়গায় বিস্কুট দেখিয়ে কুকুরছানাগুলো জড়ো করে সেগুলোকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই হোস্টেলের পাশেই রয়েছে কলকাতা আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল। সেখানকার এক ছাত্র সৌরভ চক্রবর্তী এই কুকুরছানা হত্যার ঘটনা গোপনে ভিডিও করেন। সেদিনই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। বড় দিদিদের পরামর্শে ওই দুই ছাত্রী নার্সিং হোস্টেলের সামনে থাকা এই বেওয়ারিশ কুকুরছানাগুলোকে মারার উদ্যোগ নেন বলে পুলিশ জানায়।