ধর্ষণের বিচার চাইলে জেল
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:৫০
পৃথিবীতে এমন একটি দেশ আছে যেখানে ধর্ষণের শিকার নারী বিচার চাইলে উল্টো নির্যাতনের শিকার ঐ নারীকেই জেলে যেতে হয়।
শরিয়া আইনে চলা উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার মরুভূমির দেশ মৌরিতানিয়ায় এ ঘটনা ঘটে চলেছে। দেশটির নোয়াকচট শহরে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যেই অন্তত ৫০ জন নারীর কারাদণ্ড হয়েছে৷
দেশটিতে বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্ক অবৈধ ৷ ফলে ধর্ষণের শিকার হলে নারীকে সবার আগে প্রমাণ করতে হয় যে যৌন সম্পর্কটি অনিচ্ছাকৃত ছিল৷ যেসকল নারী প্রমাণ করতে পারেন যে, তাদের সাথে জোর খাটানো হয়েছে, কেবল সেখানেই রেহাই পান নারীরা৷ তবে তা প্রমাণ করা সব সময়ই কঠিন৷ এ কারণে ধর্ষকের শাস্তি হোক না হোক বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের কারণে ধর্ষিতার শাস্তি অবধারিত৷
মৌরিতানিয়ার বিভিন্ন নারী অধিকার সংগঠন মনে করেন, মৌরিতানিয়ার নারী কয়েদিদের ৪০ শতাংশেরও বেশি কয়েদির মূল অপরাধ বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক বা ‘জিনা’৷ আইনে ফাঁক রয়ে যাওয়ার কারণে খুব সহজেই ধর্ষনকে ‘জিনা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। মৌরিতানিয়ায় পুরুষদেরও ‘জিনা’-র দায়ে কারাদণ্ড হয়৷ কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে কারাবাসের সময় হয় মেয়েদের তুলনায় কম৷
২৬ বছর বয়সি খাদি বলেন, ধর্ষণের পর লোকলজ্জার ভয়ে তিনি কাউকে বলতে পারেননি৷ কিন্তু অন্ত:স্বত্ত্বা হওয়ার পর বিষয়টা জানাজানি হয়ে যায়৷ একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি৷ তবে বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের দায়ে হাজতবাস করতে হলেও প্রগতিশীল আইনজীবীদের সহায়তায় ছাড়া পান খাদি৷
সূত্র: ডয়েচে ভেলে।