মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্তে মিয়ানমারের কমিশন গঠন
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০১৮, ১২:০৩
রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করতে একটি কমিশন গঠন করেছে মিয়ানমার সরকার। সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূলের অভিযোগে মিয়ানমারকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করার দাবির মুখে এ তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।
চার সদস্য বিশিষ্ট এ কমিশনে দুজন স্থানীয় ও দুজন বিদেশি সদস্য নিয়ে গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় দুই সদস্য হলেন- আইনজীবী মিয়া থেইন ও সাবেক জাতিসংঘ কর্মকর্তা অর্থনীতিবিদ অং তুন থেট।
৩০ জুলাই (সোমবার) দেশটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে মিয়ানমার জানিয়েছে- রাখাইনে শান্তি, স্থিতিশলতা, মীমাংসা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠার জাতীয় উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ প্যানেল গঠন করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের দফতর জানায়, কমিশনে আন্তর্জাতিক সদস্য হিসেবে আছেন ফিলিপাইনের কূটনীতিক রোসারিও মানালো ও জাতিসংঘে জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত কেনজো ওসিমা। ৮২ বছর বয়সী মানালোকে কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
রাখাইন সংকটে মিয়ানমারের জবাবদিহিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে গত বছর অং তুন থেটকে নিয়োগ দিয়েছিল দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি।
দেশটির প্রেসিডেন্টের দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইনে আরসার হামলার পর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও এ সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে তদন্ত করবে এই স্বাধীন কমিশন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আগস্টের শেষ দিকে রাখাইনে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের মুখে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র এ অভিযানকে জাতিগত নির্মূলের জ্বলন্ত উদাহরণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, যা পাঠ্যবইয়ে স্থান দেয়ার মতো। সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও জাতিগত নির্মূলের অভিযান অস্বীকার করে আসছে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার। দেশটি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দোষারোপ করছে।
সূত্র: রয়টার্স