সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার স্থগিত
প্রকাশ : ০৪ মে ২০১৮, ১৫:০৫
যৌন ও আর্থিক কেলেঙ্কারির কারণে ২০১৮ সালের নোবেল সাহিত্য পুরস্কার স্থগিত করেছে সুইডিশ একাডেমি।
৪ মে (শুক্রবার) এক বিবৃতিতে সুইডিশ একাডেমি জানিয়েছে, জনমনে আস্থার ঘাটতি থেকেই তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২০১৮ সালের নোবেল সাহিত্য পুরস্কারটি ‘রিজার্ভড প্রাইজ’ হিসেবে ২০১৯ সালের পুরস্কারের সঙ্গে ঘোষণা করা হবে।
একাডেমির এই সংকটের শিরোমণি ফরাসি আলোকচিত্রী জাঁ ক্লোদ অ্যারানাল্ট। তার বিরুদ্ধে সুইডিশ একাডেমির কর্মকর্তা, সদস্যদের আত্মীয়সহ একাধিক জনকে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির অভিযোগ ওঠে। অ্যারানাল্টের বিরুদ্ধে এই যৌন নিপীড়নের খবর প্রথম প্রকাশ করে সুইডেনের একটি সংবাদপত্র। সুইডিশ একাডেমি থেকে পদত্যাগ করা ছয় সদস্যের একজন কবি ক্যাটরিনা ফ্রসটেনসনের স্বামী তিনি।
সুইডেনে সংস্কৃতিবিষয়ক সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ‘সুইডিশ একাডেমি’। কয়েক সপ্তাহ আগে একাডেমির ছয় সদস্য পদত্যাগ করেন। তাদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান সারা দানিউসও আছেন। হঠাৎ করে ছয় সদস্যের পদত্যাগে ২৩০ বছরের পুরনো এ একাডেমি বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। বর্তমানে একাডেমির সক্রিয় সদস্য রয়েছেন মাত্র ১০ জন।
এ বছর নোবেল সাহিত্য পুরস্কারের পরিণতি কী হবে, সে বিষয়ে এই ১০ জন গত ৩ মে (বৃহস্পতিবার) বৈঠকে বসার কথা ছিল। যদিও প্রথা অনুযায়ী, কোরামের জন্য ন্যূনতম ১২ জন সদস্য উপস্থিত থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এর আগে ১৯৪৩ সালে সর্বশেষ নোবেল সাহিত্য পুরস্কার স্থগিত হয়েছিল। সেবার স্থগিত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে। ১৯০১ সালে নোবেল পুরস্কার চালুর পর থেকে এ পুরস্কার ঘিরে এটাই সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি।