ইউটিউবের সদরদপ্তরে হামলা: ক্ষমা চাইলেন নাসিমের পরিবার
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০১৮, ০২:১৬
জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের সদরদপ্তরে হামলা চালান সান ডিয়াগোর অধিবাসী ইরানি বংশোদ্ভূত ৩৯ বছর বয়সী প্রাণী অধিকারকর্মী নাসিম নাজাফি আঘদাম। নিরীহ মানুষের ওপর আঘদামের সশস্ত্র হামলার কারণে ক্ষমা চাইলেন তার পরিবার।
আঘদামের পরিবার জানায়, আমরা হতভম্ব। হামলার শিকার নির্দোষ মানুষগুলোর কাছে ক্ষমা চাইছি।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল ৯ মিলিমিটারের একটি হ্যান্ডগান নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় ইউটিউবের সান ব্রুনো কার্যালয়ে হামলা চালান নাসিম। তিনজনকে গুলি করার পর নিজের অস্ত্র দিয়েই আত্মঘাতী হন তিনি।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, আঘদাম একজন ইউটিউব স্টার প্রত্যাশী ছিলেন। তার অভিযোগ ছিল, ইউটিউবে তার ভিডিওগুলো ফিল্টার করা হচ্ছে এবং গুরুত্ব কমিয়ে দেয়া হচ্ছে ফলে মানুষ সেগুলো খুব একটা দেখছে না।
আঘদামের অনলাইন প্রোফাইলে রয়েছে, তিনি একজন নিরামিষভোজী। তিনি নাসিমইসাবজ ডটকম নামে একটি ওয়েবসাইট চালাতেন। ফারসিতে এর অর্থ ‘বিশুদ্ধ বাতাস’। এই সাইটটিতে তিনি ইরানি সংস্কৃতি এবং নিরামিষভোজী হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরতেন। সাইটটিতে ইউটিউবের তীব্র সমালোচনাও করতেন তিনি।
ঘটনার সময় হঠাৎ করে গোলাগুলির শব্দ শোনার পর অফিসের কর্মীরা দিগ্বিদিক পালাতে শুরু করে। এরপর পুলিশ ইউটিউবের সদরদপ্তরের চারদিকে অবস্থান নেয়। বন্দুক হামলা চালিয়ে আঘদামের গুলিতে একজন পুরুষ ও দুজন নারী আহত হন। আহত তিন জনের মধ্যে এক নারীর অবস্থা গুরুতর। অন্যদের অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন সান ফ্রান্সিসকো জেনারেল হাসপাতালের মুখপাত্র।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে এ ঘটনার যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গুলির ঘটনায় শোক জানিয়েছেন। তিনি দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখানোয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশংসা করেছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ায় ইউটিউবের এই প্রধান কার্যালয়ে ১৭০০ লোক কাজ করেন। ইউটিউবের মালিকানা প্রতিষ্ঠান গুগল জানায়, গোলাগুলির ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তারা।
ইউটিউবের মুখপাত্র ক্রিস ডেল পুলিশের তৎপরতার প্রশংসা করেছেন।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীদের হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। দেশটির নাগরিকদের আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অধিকার নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে বিতর্ক চলছে। গত ফেব্রুয়ারিতে বন্দুকধারীর গুলিতে ফ্লোরিডার একটি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় ১৭ জন মারা যাওয়ার পর এই বিতর্ক আরও জোরালো হয়ে উঠে।