ইউটিউবের উপর ‘ক্ষুব্দ’ হয়ে সদরদপ্তরে হামলা
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০১৮, ০১:৩৬
জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবকে ঘৃনা করতেন হামলাকারী আর সেই থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ইউটিউবের সদরদপ্তরে হামলা চালিয়েছেন ঐ নারী-জানিয়েছেন তদন্তকারী গোয়েন্দারা। খবর স্কাই নিউজ-এর।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, সান ডিয়াগোর অধিবাসী ইরানি বংশোদ্ভূত ৩৯ বছর বয়সী প্রাণী অধিকারকর্মী নাসিম নাজাফি আঘদাম একজন ইউটিউব স্টার প্রত্যাশী ছিলেন। তার অভিযোগ ছিল, ইউটিউবে তার ভিডিওগুলো ফিল্টার করা হচ্ছে এবং গুরুত্ব কমিয়ে দেয়া হচ্ছে ফলে মানুষ সেগুলো খুব একটা দেখছে না।
আঘদামের অনলাইন প্রোফাইলে রয়েছে, তিনি একজন নিরামিষভোজী। তিনি নাসিমইসাবজ ডটকম নামে একটি ওয়েবসাইট চালাতেন। ফারসিতে এর অর্থ ‘বিশুদ্ধ বাতাস’। এই সাইটটিতে তিনি ইরানি সংস্কৃতি এবং নিরামিষভোজী হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরতেন। সাইটটিতে ইউটিউবের তীব্র সমালোচনাও করতেন তিনি।
নাসিমের বাবা ইসমাইল আঘদাম বলেছেন, তিনি পুলিশকে আগে ইউটিউবের প্রতি তার মেয়ের ‘ঘৃণার’ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। নাসিম ইউটিউবের অফিসে যেতেও পারেন বলে সতর্ক করেছিলেন ইসমাইল।
নাসিমের ভাই শাহরান আঘদাম বলেছেন, তার বোন সবসময় অভিযোগ করতেন যে ইউটিউব তার জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে।
গত ৩ এপ্রিল নাসিম ক্যালিফোর্নিয়ায় ইউটিউবের সান ব্রুনো কার্যালয়ে হামলা চালান। হঠাৎ করে গোলাগুলির শব্দ শোনার পর কর্মীরা দিগ্বিদিক পালাতে শুরু করে। এরপর পুলিশ ইউটিউবের সদরদপ্তরের চারদিকে অবস্থান নেয়। বন্দুক হামলা চালিয়ে তিনজনকে আহত করার পর নিজের বন্দুকের গুলি দিয়েই আত্মহত্যা করেন নাসিম। আহত তিন জনের মধ্যে একজন নারীর অবস্থা গুরুতর। অন্যদের অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন সান ফ্রান্সিসকো জেনারেল হাসপাতালের মুখপাত্র।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীদের হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। দেশটির নাগরিকদের আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অধিকার নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে বিতর্ক চলছে। গত ফেব্রুয়ারিতে বন্দুকধারীর গুলিতে ফ্লোরিডার একটি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় ১৭ জন মারা যাওয়ার পর এই বিতর্ক আরও জোরালো হয়ে উঠে।