নিউজিল্যান্ডকে বদলাতে চান নবীন জাসিন্ডা
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০১৭, ২৩:১৪
গত সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডে হয়ে গেল সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচনে ৩৭ শতাংশেরও কম ভোট পেয়েছে লেবার দল অথচ এ দল থেকেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন জাসিন্ডা আরডার্ন। আর জাসিন্ডা নির্বাচনে পরাজিত কোনো দল থেকে এই প্রথমবার সরকার গঠন করলেন। স্থান করে নিলেন সমানুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্বমূলক পার্লামেন্টে।
বলা হচ্ছে, বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নারী নেতাও হলেন জাসিন্ডা আরডার্ন। মাত্র ৩৭ বছর বয়স তার। গত ২৬ অক্টোবর শপথ নিয়েছেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের নির্বাচনের ইতিহাসে বেশ বদল ঘটিয়েই ক্ষমতায় এলেন জাসিন্ডা। পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে উদ্বুদ্ধ করেছেন সে দেশের তরুণ প্রজন্মকেও।
দেশটিতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা ন্যাশনাল পার্টির কর্মকাণ্ডে ক্লান্তিবোধ করছিল নিউজিল্যান্ডবাসী। মনে মনে পরিবর্তন চেয়ে তাই বেছে নিয়েছে নবীন জাসিন্ডাকে।
বিশ্লেষকদের মতে, তিন দশক ধরে চলা উদার অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অবসান কাম্য ছিল নিউজিল্যান্ডের মানুষের। অর্থনীতিকে নিতে চেয়েছে রক্ষণশীলতার দিকে। আর সেই পথে তাদের স্বপ্ন দেখাতে পেরেছেন জাসিন্ডা।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরই জাসিন্ডার লেবার দল পপুলিস্টদের সঙ্গে নিয়ে নিউজিল্যান্ডে অভিবাসী আসার হার কমিয়ে বছরে ৩০ হাজারে আনতে চেয়েছেন। বিদেশিদের কৃষিজমি কেনাবেচায় নিয়ন্ত্রণ আনতে, ট্রান্সপ্যাসিফিক পার্টনারশিপ নিয়ে আবার আলোচনা, মুক্তবাণিজ্য, বিদেশিদের বাড়ি কেনাবেচার ওপর লাগাম টানাতেও রাজি হয়েছে দুই দল।
নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিল ইংলিশ এখন বিরোধী দলের নেতা। নির্বাচনে তার ন্যাশনাল পার্টি পেয়েছে ৪৪ শতাংশ ভোট। জাসিন্ডার সরকারের কাছে ন্যাশনাল পার্টি যেকোনো সময় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ, জাসিন্ডা সরকারের বেশির ভাগ মন্ত্রীর অভিজ্ঞতা কম। জোটগতভাবেও তারা দুর্বল। তার ওপর জাসিন্ডা এক লাখ ঘরবাড়ি নির্মাণ, শিশু দারিদ্র্য দূরীকরণ, দূষিত নদী শোধনের মতো উচ্চাভিলাষী কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু এগুলো পূরণ করা তার পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এটা ঠিক, ভোটারদের মন জয় করতে পেরেছেন জাসিন্ডা। সংখ্যাগরিষ্ঠ নিউজিল্যান্ডবাসীকেও একসূত্রে বাঁধতে পেরেছেন। কিন্তু তার সামনে এখনও বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে।