চীনে নিষিদ্ধ হচ্ছে ডিজেল-পেট্রল চালিত গাড়ি
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:৩১
ডিজেল ও পেট্রল দ্বারা চালিত সকল প্রকার গাড়ি নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে চীন। দেশটির উপ-শিল্পমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহারকারী সব ধরনের গাড়ি-ভ্যানের উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছি আমরা। এই পদক্ষেপের ফলে আমাদের দেশের গাড়ি তৈরি শিল্পে নিঃসন্দেহে বিরাট পরিবর্তন আসবে।’
উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ির বাজার চীন এবং এই মুহূর্তে আমেরিকার পরেই দুনিয়ার যে দেশটি সবচেয়ে বেশি পরিমাণ তেল ব্যবহার করে সেটি হল চীন। গত বছরেও চীন ২ কোটি ৮০ লক্ষ গাড়ি তৈরি করেছে, যা সারা পৃথিবীর মোট গাড়ি উৎপাদনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ। দূষণ ও কার্বন নির্গমন রোখার চেষ্টায় ব্রিটেন ও ফ্রান্স ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে তারা ২০৪০ সালের মধ্যে সব নতুন ডিজেল ও পেট্রল গাড়ি নিষিদ্ধ করতে চায়।
চীনা মালিকানাধীন গাড়ি কোম্পানি ভলভো জুলাই মাসেই ঘোষণা করেছে, ২০১৯ সাল থেকে তাদের সব নতুন মডেলে একটি বিদ্যুৎচালিত মোটর থাকবে। ভলভো’র চীনা মালিক সংস্থা গিলি ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ লক্ষ ইলেকট্রিক কার বিক্রিরও পরিকল্পনা করেছে। রেনোঁ-নিসান, ফোর্ড ও জেনারেল মোটর্সের বিশ্বের প্রথম সারির গাড়ি-নির্মাতারা অনেকেই চীনে ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির প্রচেষ্টায় যুক্ত আছে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নতুন যে সব বিধিনিষেধ চালু হতে যাচ্ছে, তার আগে আকর্ষণীয় চীনা বাজারের একটা অংশ দখল করার জন্য গাড়ি-নির্মাতারা অনেকেই মরিয়া। চীন চাইছে, ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের দেশে যত গাড়ি বিক্রি হবে তার এক-পঞ্চমাংশই যেন হয় ইলেকট্রিক ব্যাটারি কার বা প্লাগ-ইন হাইব্রিড কার।
সূত্র: বিবিসি