চীনকে উপেক্ষা করে কাছাকাছি ভারত-তাইওয়ান
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০১৭, ২০:৩২
সিকিমের ডোকালাম ইস্যুতে ভারত-চীন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। এই সময় চীনের হুমকি উপেক্ষা করে ভারতের কাছাকাছি এল তাইওয়ান। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার দ্রুত পরিবর্তনের ফলে মজবুত হল ভারত-তাইওয়ান সম্পর্ক। গত কয়েক বছরে এই দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।
ভারতের স্বাধীনতার আগে ভারত এবং তাইওয়ানের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছিল। তাইপেইতে ইন্ডিয়া-তাইপেয়ি অ্যাসোসিয়েসন (ITA) স্থাপিত হয়। এই অ্যাসোসিয়েশনটিকে ঘিরেই এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত হয়।
তথ্য মতে, ২০০২ সালে আইটিএ-র ডিরেক্টর, তাইপেই ইকোনমিক এবং কালচারাল সেন্টার চুক্তিবদ্ধ হয়৷ আইটিএ-র প্রমোশন এবং প্রোটেকশনের জন্যই এই চুক্তিটি হয়। ২০০৬ সালে একটি প্রাইভেট সংস্থা তাইওয়ান-ইন্ডিয়া কোঅপারেশন কাউন্সিল(টিআইসিসি) স্থাপিত হয় তাইপেইতে। ২০১১সালে এই দুই দেশ ডাবল ট্যাক্সেসন অ্যাভোয়েডেন্স এগ্রিমেন্ট এবং কাস্টমস কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট সাক্ষর করে।
২০০৪ সাল থেকে তাইওয়ান স্কলারশিপ এবং মান্দারিন স্কলারশিপ দেওয়া শুরু করে। ২০০৩ সাল থেকে নয়াদিল্লি এবং তাইপেইয়ের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিসেবা চালু হয়েছিল। এই সমস্ত চুক্তিগুলি এই দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করছে। এছাড়াও এই দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বিজ্ঞান, পর্যটন এবং প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।
তাইওয়ানের ২০১৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় এই দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও মজবুত হয়। ডোকলাম ইস্যু নিয়ে ইতোমধ্যেই ভারত-চীনের মধ্যে সংঘাত লেগেই রয়েছে। কিন্তু এর মাঝেও এই দুই দেশের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায় চীন। কিন্তু চীনের বাধা উপেক্ষা করে এ সম্পর্ককে আরও মজবুত করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিল তাইওয়ান।