গর্ভপাতের অনুমতি পেল তেরো বছরের ধর্ষিতা

প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:৩৩

জাগরণীয়া ডেস্ক

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট মুম্বাই শহরের ১৩ বছর বয়সী এক ধর্ষিতা শিশুকে গর্ভপাত করানোর অনুমতি দিয়েছে। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ওই শিশুটির গর্ভপাত করানো হবে।

৩২ সপ্তাহের গর্ভবতী ওই শিশুটির গর্ভপাত করানোর জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন ছিল - কারণ ভারতের আইনে ২০ সপ্তাহের পর গর্ভপাতের অনুমতি শুধু তখনই দেয় যখন মায়ের জীবনের আশঙ্কা থাকে।

শিশুটি যে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে, সেটা জানাজানি হয় মোটা হয়ে যাওয়ার চিকিৎসা করাতে তার বাবা-মা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর। শিশুটি অভিযোগ করেছে তার বাবার এক সহকর্মীই তাকে ধর্ষণ করেছে। ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শিশুটিকে গর্ভপাত করতে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে শীর্ষ আদালতের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ, যার নেতৃত্বে ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র।

মুম্বাইয়ের জে জে হসপিটালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের প্যানেলের তৈরি করা মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, গর্ভপাত এখনই করানো হোক বা পরে - ১৩ বছরের ওই মেয়েটির জীবনের ঝুঁকি একই রকম থাকবে।

ড: নিখিল দাতার, যিনি গত ৯ আগস্ট শিশুটির গর্ভাবস্থার কথা প্রথম আবিষ্কার করেন, তিনি আদালতের এই রায়কে 'যুগান্তকারী' বলে বর্ণনা করেছেন।

মুম্বাইয়ের এই শিশুটির ঘটনাটি সামনে আসার মাত্র দিনকয়েক আগেই চন্ডীগড়ে ১০ বছর বয়সী আর একটি ধর্ষিতা শিশু একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়।

সে-ও ৩২ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিল, কিন্তু তাকে আদালত গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি - কারণ তার ক্ষেত্রে সেটা 'অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ' হত বলে চিকিৎসকরা মত দিয়েছিলেন।

ভারতে শিশু নির্যাতনের করুণ চিত্র :

প্রতি ১৫৫ মিনিটে ভারতে ১৬ বছরের কমবয়সী একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। দশ বছরের কমবয়সী শিশুর ক্ষেত্রে হিসেবটা ১৩ ঘন্টায় একটা।

২০১৫ সালে দশ হাজারেরও বেশি শিশু ভারতে ধর্ষিতা হয়েছে।

ভারতে ২৪ কোটি নারীর বিয়ে হয়ে গেছে তাদের বয়স ১৮ হবার আগেই।

সরকারের একটি সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৩.২২ শতাংশ শিশুই বলেছে তারা কোনও না কোনওভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত