বিকিনি পরতে পারবেন সৌদি নারীরাও
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০১৭, ১২:১২
মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল দেশ সৌদি আরবে নারীরা খুব শিগগির পরতে পারবেন বিকিনি। সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের উদ্যোগে সেখানে দেশি-বিদেশি নারীদের অন্য সুবিধার পাশাপাশি এই খোলামেলা পোশাকটি পরার অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে। আর সে লক্ষ্যে দেশটিতে গড়ে তোলা হচ্ছে একটি বিলাসবহুল পর্যটনকেন্দ্র।
সৌদি আরবের এই উদ্যোগের পর অনেকের মনেই প্রশ্ন, রক্ষণশীল দেশটির হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত? কারা পরতে পারবেন বিকিনি? কিংবা সৌদিজুড়েই বিকিনি পরার সুযোগ থাকছে কি না?
সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তরগুলো মিলেছে সৌদি প্রশাসনের কাছ থেকেই। মুসলমানদের কাছে পবিত্র ভূমি সৌদি আরবে সারা বছরেই থাকে ধর্মীয় পর্যটকদের সমাগম। হজ, উমরাসহ অন্য কাজে দেশটিতে গমনকারীদের কাছ থেকে আয়ের একটি বড় অংশ পেয়ে থাকে তারা। এবার নাকি নিজেদের দৃষ্টিকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চাচ্ছেন যুবরাজ সালমান। তার উদ্দেশ্য ধর্মের পাশাপাশি আমোদ-প্রমোদের জন্যও পর্যটকরা যেন দেশটিতে যান।
এ লক্ষ্যেই লোহিত সাগরের ৫০টি দ্বীপ নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ওই পর্যটনকেন্দ্র। সেখানে বিদেশি পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য থাকবে বিশেষ সব সুবিধা। ২০৩০ সালের মধ্যে সৌদিকে ঢেলে সাজানোর কাজ শেষ হবে বলে ধারণা করছে সৌদি প্রশাসন।
ওই পর্যটনকেন্দ্রে অন্যান্য সুবিধার পাশাপাশি থাকবে নারীদের বিকিনি পরার সুযোগও। খোলামেলা এই পোশাকটি বিদেশি নারীদের পাশাপাশি সৌদি নারীরাও পরতে পারবেন। তবে নারীদের জন্য এই পোশাক স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ থাকবে শুধু পর্যটনকেন্দ্রগুলোর নির্দিষ্ট অংশের মধ্যেই। বাইরে গেলেই আর দশজনের মতো সৌদি রীতি অনুযায়ী পরতে হবে ‘আবায়া’ নামের লম্বা একধরনের পোশাক।
তবে সৌদিতে বিদেশি নারীদের জন্য আবায়া বাধ্যতামূলক নয় বলে জানানো হয়েছে সৌদি যুবরাজের সিদ্ধান্তে। এ ছাড়া স্থানীয় নারীরা মুখ খোলা রেখেই জনসম্মুখে যেতে পারবেন। নতুন এই সিদ্ধান্ত রক্ষণশীল সৌদির প্রতি বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গিতে ফারাক আনবে বলে ধারণা যুবরাজের।
মুসলমানদের পবিত্র ভূমিতে সৌদি যুবরাজের নেওয়া এই সিদ্ধান্তে অবশ্য বেশ চটেছেন অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন অনেক আলেম-ওলামারা। তবে নারী স্বাধীনতার দ্বার দেশটিতে উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে বলে এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন অনেক নারী সংগঠনের কর্মীরা।