বিদায় রিও ২০১৬! স্বাগত টোকিও ২০২০!
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০১৬, ১৩:৪৩
জমকালো উদ্বোধনের মতোই জাকজমক আয়োজনের মাধ্যমে পর্দা নামলো রিও অলিম্পিকের। মারাকানার গ্যালারি প্রায় খালি হয়ে গেছে। যাঁরা আছেন, তাঁরা নেচে যাচ্ছেন। মাঠে যে চলছে ‘কার্নিভ্যাল’।
রিও’র কার্নিভ্যাল বিশ্ব বিখ্যাত, নাচে-গানে আর রঙের পসরা সাজিয়ে তা হয়ে রইল সত্যিকার এক উৎযাপন। আর তা দিয়েই শেষ করা তাই খুব মানিয়ে গেল। এর আগে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টায় এই শহরের বিখ্যাত সব ল্যান্ডমার্ক ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার, সুগারলোফ, লাপার আর্চ — সবই বিশ্বকে দেখিয়ে দিল রিও। নিজেদের গর্ব করার মতো যা কিছু, তার সবও।
অনেক কিছুতেই বিশেষত্ব আছে রিও ডি জেনিরোরও। আছে গর্ব করার মতো অনেক কিছুই। এর মধ্যে একটি হলো সংগীত। বিশ্বের আর কোনো শহরে কি প্রধান বিমানবন্দরের নাম কোনো সংগীতজ্ঞের নামে হয়েছে? রিওর প্রধান বিমানবন্দর আন্তনিও কার্লোস জবিমের নামে, যিনি ছিলেন সংগীতের মানুষ। রিও’র সংগীত, রিও’র নাচ, রিও’র উৎসবপ্রিয়তা—সবকিছুরই ছোট ছোট সংস্করণ থাকল সমাপনী অনুষ্ঠানে।
অলিম্পিকের প্রাণ অ্যাথলেটরা ঢুকলেন ‘হিরোস অব দ্য অলিম্পিক’ পর্বে। একটা জায়গায় সেটিও হয়ে থাকল ব্যতিক্রমী। সমাপনী অনুষ্ঠানে অ্যাথলেটদের দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ব্যথা হয়ে যায়। এবার আর সেই যন্ত্রণা নেই। মাঠের চারপাশে বৃত্তাকার চেয়ারের সারিতে তাঁদের বসার ব্যবস্থা থাকল।
মাঝখানে একটা অংশ বরাদ্দ ছিল টোকিওর জন্য। চার বছর পর জাপানের রাজধানীতেই পরবর্তী অলিম্পিক। পরবর্তী আয়োজক শহরের কাছে মশালও হস্তান্তর করেছে রিও। যে ৩৩টি খেলা হবে সেখানে, সেগুলোর অপূর্ব এক প্রদর্শনীতে জাপানিরা আবার মনে করিয়ে দিল প্রযুক্তির সঙ্গে বাধা তাদের গাঁটছড়ার কথা। সবকিছুর পর একসময় মশাল নিভল। কিন্তু তাতেও বিষাদ নেমে আসার কোনো সুযোগ থাকল না। মাঠে যে শুরু হয়ে গেল মিনি কার্নিভ্যাল। গান-নাচ আর রঙের মেলায় যা জানিয়ে দিল, সমাপনী মানেই বিষাদ নয়। যা কিছু হয়েছে, সেটির উৎযাপন।
‘অলিম্পিক ভিলেজ’ ও ছোটখাটো কয়েকটি ঘটনা ছাড়া আয়োজক হিসেবে ব্রাজিলকে সফলই বলা যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও ছিল চমক। আর ট্র্যাক-কোর্ট-মাঠে নতুন নতুন সব ইতিহাসের জন্ম দিয়ে ‘এ নিউ ওয়ার্ল্ড’-এর স্লোগানকে করেছে পরিপূর্ণ।