ঢাকায় শুরু সায়েন্স ফিকশন ফেস্টিভাল
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০১৭, ২৩:২৬
তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটির আয়োজনে রাজধানীতে শুরু হয়েছে সায়েন্স ফিকশন ফেস্টিভাল।
শুক্রবার সকালে জাতীয় গণগ্রন্থাগার চত্বরে ফেস্টিভালের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ-কথাসাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
এবারের ফেস্টিভালে গত দুই বছরের কার্যক্রমের মূল্যায়ন করে পাঁচ জনকে ক্রিয়েটিভ সদস্য সম্মাননা, সায়েন্স ফিকশন লেখক দীপু মাহমুদকে ‘সায়েন্স ফিকশন সাহিত্য পুরষ্কার-২০১৫’ এবং সায়েন্স ফিকশন ছোটগল্প ক্যাটাগরিতে আসিফ চৌধুরীকে পুরস্কার প্রদান করে সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি।
ফেস্টিভালে ছিল সিমিউলেশন ভিডিও গেম প্রতিযোগিতা, মাস্টার টাইপার প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান আনন্দ পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন, সায়েন্স ফিকশন লেখকদের সঙ্গে আড্ডা, এলিয়েন উৎসব, সায়েন্স ফিকশন বইমেলা।
রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি চালানো প্রতিযোগিতা, কল্পবিজ্ঞানের বিখ্যাত চরিত্র, রোবট আর এলিয়েনদের টুডি ইমেজের সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পেয়েছে উৎসবে আসা খুদে শিক্ষার্থীরা।
‘এসো এসো, সায়েন্স ফিকশন ফেস্টিভ্যাল ২০১৭ তে এসো; হারিয়ে যাও কল্পবিজ্ঞানের রোবট এলিয়েনের অজানা জগতে’- স্লোগান নিয়ে অনুষ্ঠেয় ফেস্টিভালে থাকছে বই মেলার আয়োজন। মেলায় বিভিন্ন প্রকাশনার বিজ্ঞান বিষয়ক বই ২৫% কমিশনে কেনা যাবে । উৎসবের সর্বোচ্চ সংখ্যক বই ক্রেতাকে বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করা হবে।
এই আয়োজনে আরও ছিল সায়েন্স ফিকশন সোসাইটির সদস্য হওয়ার সুযোগ।
সায়েন্স ফেস্টিভ্যালের অন্যতম আকর্ষণ ছিল মানুষের মতো দেখতে রোবট ‘ইবো’। মানুষের মতো কথা বলতে পারা রোবটটিকে ঘিরে মেলায় আসা কিশোর-কিশোরীদের ছিল দারুণ আগ্রহ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আনিসুল হক বলেন, “সায়েন্স ফিকশনের লেখাগুলোকে ভিত্তি করেই বিজ্ঞানীরা নতুন আবিস্কারে মেতে উঠেন। আজকে বাংলাদেশের তরুণরা ‘রিবো’, ‘ইবো’ রোবট বানাচ্ছেন। এই রোবট একদিন পৃথিবী জয় করবে।”
মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, “পাগলের মতো সায়েন্স ফিকশন লিখলে হয় না। তার জন্য সায়েন্সের ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হয়। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে সায়েন্স ফিকশন লিখতে শুরু করেছিলাম। এ লেখার ভেতরে অন্যরকম এক আনন্দ আছে। যদি লিখতে না পারি তবে কেমন যেন উসখুশ করে মন।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ফেস্টিভালের উদ্দেশ্য ও নানা লক্ষ্য নিয়ে বলেন বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটির সভাপতি মোশতাক আহমেদ।
তিনি বলেন, “বিজ্ঞান চর্চাকে আরও সহজতর করে তোলাই আমাদের উদ্দেশ্য। খুদে বিজ্ঞানীদের উৎসাহ-প্রণোদনা প্রদানের পাশাপাশি আমরা সায়েন্স ফিকশন রাইটারদের এক প্ল্যাটফর্মে হাজির করতে চাই।”
সায়েন্স ফিকশনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ফেস্টিভালের দ্বিতীয় দিন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে সম্মাননা প্রদান করবে সোসাইটি।
সম্মাননা প্রদানের পরই লেজার শো এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে এলিয়েন উৎসব।
শিক্ষার্থীদের স্বহস্তে তৈরি কিংবা আঁকা এলিয়েনের মধ্য থেকে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ এলিয়েন নির্মাণকারী শিক্ষার্থীদেরকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হবে। সবশেষে এলিয়েনদের উড়িয়ে দেওয়া হবে মহাশূন্যের উদ্দেশ্যে। এর মাধ্যমে দুদিনের এই তারুণ্যের উৎসব শেষ হবে।