৫৭ থেকে ১৯: একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ
প্রকাশ : ২১ মে ২০১৭, ১৯:২৭
প্রতিটি মানুষই জন্মসূত্রে কিছু অধিকার পেয়ে থাকে, যা মৌলিক অধিকার। এ ক্ষেত্রে বাক-স্বাধীনতা অন্যতম। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক ধারায় পরিচালিত প্রতিটি রাষ্ট্রের নাগরিকদের মত প্রকাশের অধিকার থাকতেই হবে। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সারা বিশ্বের মানুষ যুগযুগ ধরেই সোচ্চার ছিলেন, আছেন। গণতান্ত্রিক ধারায় পরিচালিত দেশসমূহ তাদের প্রতিটি নাগরিককে ‘freedom of speech, freedom of expression, freedom of thought' অধিকার দিতে হবে। বিশ্ব মানবাধিকারও তাই বলে।
আমরা জানি যে, freedom of speech মানে বাক-স্বাধীনতা অর্থাৎ মৌখিক কথা বলার অধিকার, freedom of expression মানে ভাব প্রকাশের অধিকার, freedom of thought মানে চিন্তার অধিকার এবং freedom of conscience মানে বিবেকের স্বাধীনতা। যা প্রতিটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রই তার নাগরিককে দিতে বাধ্য। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর প্যারিসে ‘Universal Declaration of Human Rights (UDHR)’ শিরোনামে যে ঘোষণাপত্র প্রকাশ কারা হয়েছিল, সেখানে স্পষ্ট করেই বলা আছে ‘Everyone has the right to freedom of opinion and expression; this right includes freedom to hold opinions without interference and to seek, receive and impart information and ideas through any media and regardless of frontiers'।
শুধু তাই নয়, ১৯৬৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর গৃহিত হওয়া International Covenant on Civil and Political Rights (ICCPR)’ এ বলা আছে 'The right to hold opinions without interference. Everyone shall have the right to freedom of expression'। এই চুক্তিটি ১৯৭৬ সালের ২৩ মার্চ কার্যকর হয়। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশও স্বাক্ষর করে। চুক্তি মোতাবেক যেসব দেশ এতে স্বাক্ষর করে সম্মতি প্রদান করেছে তারা নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিতে বাধ্য। এতেই বোঝা যায় একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য মতপ্রকাশের স্বাধীনতার গুরুত্ব কতখানি। কেননা, অংশগ্রহণমূলক গনতন্ত্র ও জবাবদিহিমূলক সরকারের জন্য নাগরিকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তাছাড়া গণতান্ত্রিক ধারায় পরিচালিত প্রতিটি দেশের সরকারেরই নিজ নিজ নাগরিকের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। এই দায়বদ্ধতা থেকে রাষ্ট্রকেই তার নাগরিকের মতপ্রকাশের ব্যাপারটি সুনিশ্চিত করতে হবে। এখানে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। যদি মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কোনো রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করে, তাহলে গণতন্ত্রের চর্চা ব্যাহত হয়, নাগরিকের মৌলিক অধিকার খর্ব হয়। কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এ কাজটি করতে পারে না। তারপরও ২০০৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তার নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব করার মানসে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (ICT) আইনের ‘৫৭ ধারা’ প্রণয়ন করে। আর এ নিয়ে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশ-বিদেশ সর্বত্রই সমালোচনা শুরু হয়, যা এখনও অব্যাহত আছে।
তবে সমালোচনার মুখে বহুল আলোচিত তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (ICT) আইনের ৫৭ ধারা বাতিল হতে হচ্ছে বলে খবর প্রকাশ হয়! আর এমন খবরে যারপরনাই উদ্বেলিত আমরা অনেকেই। আহ! এতদিন যে দাবি করে আসছিলাম, তার প্রতিফলন হতে যাচ্ছে। এমন একটি খবরে উচ্ছ্বসিত না হয়ে কী থাকা যায়? এ যে আমাদেরই জয়। আমাদের চাওয়ার প্রতিফলন ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু; এর পরিবর্তে যে আইন প্রণয়নের কথা বলা হচ্ছে, তার বিস্তারিত জেনে উচ্ছ্বাসটুকু আর ধরে রাখা গেল না! বাক-স্বাধীনতা কোনো না কোনোভাবে খর্ব করার বিধান রাখাই হচ্ছে (!) মূল খবরটা যখন এখানে এসে আটকে যাচ্ছে, তখন নিজের কাছেই প্রশ্ন রেখে বলি এমন খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা কতটুকু যৌক্তিক?
পত্রিকান্তে জানতে পেরেছি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি ((ICT) আইনের ৫৭ ধারা থাকছে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। কিন্তু এর বদলে যে ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন' তৈরি হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে, তা নিয়ে আশ্বস্ত হওয়ার কোনো উপায় নেই। সম্প্রতি প্রস্তাবিত নতুন আইনে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ২ বছর। আর ৫৭ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হলে ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এছাড়া ৫৭ ধারার মতো নতুন ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনেও পরোয়ানা ছাড়া তল্লাশি, মালামাল জব্দ ও গ্রেপ্তারের বিধান রাখা হয়েছে। তবে অস্পষ্ট রয়েছে এই ধারাটি ৫৭-এর মতো অজামিনযোগ্য কিনা। তবে এটুকু বোঝা যাচ্ছে কেবল ৫৭ ধারা পরিবর্তন কিঞ্চিত রদবদলহচ্ছে যা অনেকটা ‘নতুন বোতলে পুরনো মদ’ এই আরকি!
তাহলে কেমন হবে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (ICT) আইনের ৫৭ ধারার পরবর্তীতে প্রণয়ন হতে যাওয়া নতুন ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন’? এর ধারাই বা কত হচ্ছে? এমন প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। ৫৭ ধারা বাতিল হচ্ছে এমন সংবাদে বিভিন্ন মহল থেকে যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা হচ্ছে, আদতে নতুন আইনে সে উচ্ছ্বাস শেষতক থাকবে? এমন ভাবনা থেকে যখন খোঁজ-খবর নেয়া হলো, তখন এটুকুই অনুমান করে বলতে পারছি, নতুন এই আইনে কোথাও উচ্ছ্বাস প্রকাশের স্থান নেই। বরং ৫৭ ধারার আরেক রূপ ‘Digital Security Act’ এর ১৯ ধারা। যদিও বলা হচ্ছে, এই আইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। কিন্তু আতিপাতি করেও সেই স্বাধীনতার দিকটা পাওয়া গেল না।
২০০৬ সালে প্রণিত তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (ICT) আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল পুরো দেশময়। শুধু দেশই বা বলি কেন; এ নিয়ে বিভিন্ন দেশেও সমালোচনা হয়েছিল। মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গলা টিপে ধরা হয়েছিল এই আইনের মাধ্যমে। যার কারণে এই আইন অনেকের কাছে ‘কালো আইন’ হিসেবে বিবেচ্য। যদিও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টি থাকবে'। কিন্তু এই আইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কতটা থাকবে তা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ১৯ ধারা পর্যালোচনা করলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
গত ৪ বছর ধরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়ার কাজ করা হচ্ছে। যা অনেকটাই ৫৭ ধারারই আদলে। এই আইন প্রণয়নের ফলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বড় রকমের কোনো পরিবর্তন হবে, তেমন আশা আপত করা যাচ্ছে না। যদিও আইনমন্ত্রী বলেছেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এখনও প্রণীত হয়নি। নতুন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিং পর্যায়ে আছে। শিগগিরই এর অস্পষ্টতা দূর করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হবে। এরপরই তৈরি হবে আইনটির চূড়ান্ত খসড়া।’ তাহলে ধরে নিতেই পারি যে, নতুন আইন আসছে।
এই আইনের ১৯ ধারায় বলা আছে, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনও ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে (১৮৬০ সালের ৪৫ নম্বর আইন)-এর ৪৯৯ ধারা মতে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মানহানি ঘটলে তাহা হইবে একটি অপরাধ। কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে এমন কোনো কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা বা অশ্লীল এবং যাহা মানুষের মনকে বিকৃত ও দূষিত করে, মর্যাদাহানি ঘটায় বা সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করে, তাহা হইলে ইহা হইবে একটি অপরাধ।’
এছাড়া প্রস্তাবিত এই আইনের খসড়ায় ধর্মীয় অনুভূতির ক্ষেত্রে ১৯-এর ৩-এর ধারায় উল্লেখ আছে, ‘কোনো ব্যক্তি স্বেচ্ছাকৃতভাবে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার উদ্দেশ্যে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পাঠ করে বা দেখে বা শুনে তার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত পান, তা হলে এটি হবে একটি অপরাধ।’ তবে এক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রমও রয়েছে, যেমন: ‘ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে প্রকৃত ধর্মীয় উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত বা ব্যবহৃত কোনো পুস্তক, লেখা, অঙ্কন বা চিত্র অথবা যেকোনো উপসানালয়ের ওপর বা অভ্যন্তরে বা প্রতিমা পরিবর্তনের জন্য ব্যবহৃত যেকোনো ধরনের খোদাই, চিত্র বা প্রকারান্তরে প্রতিচিত্র অথবা কোনো ধর্মীয় উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত কল্পমূর্তির ক্ষেত্রে উপধারা ৩ প্রযোজ্য হবে না।’
আপত নতুন এই প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তথা ১৯ ধারা আর ৫৭ ধারার মধ্যে পার্থক্য তেমন একটা আছে বলে মনে করছি না। কেননা, এই দুটি ধারাই বাক-স্বাধীনতার পরিপন্থী। যাচ্ছেতাইভাবে ৫৭ ধারার প্রয়োগ ঘটিয়ে সরকার দেশ ও বিদেশে কঠোর সমালোচনা ও চাপের মুখে পড়েছে। তাই আইওয়াশের উদ্দেশ্যে ৫৭ ধারার জায়গায় নতুন মোড়কে ১৯ ধারা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। যা একই একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ বলেই এখন মনে হচ্ছে। মূল কথা, শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে আনলেও অন্যান্য বিষয়গুলো কিন্তু একই স্থানে রয়ে যাচ্ছে। যা প্রণীত খসড়াতেই বোঝা যাচ্ছে।
যদিও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘সরকার কারও বাকস্বাধীনতা হরণে বিশ্বাস করে না। নতুন আইনে যদি তেমন কিছু থাকে, তাহলে সেগুলো যাচাই বাছাই করা হবে।’ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যে আইন তদন্ত ছাড়া কেবল অভিযোগের ভিত্তিতে মালামাল জব্দ, তল্লাশি ও গ্রেপ্তার করার অধিকার দিয়ে থাকে, সে আইন জনবান্ধব কতটা হতে পারে? এতে করে কী মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে না? ৫৭ ধারাতে অভিযোগ করার পরপরই পুলিশ চাইলে বিবাদীকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। এ ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি হয়রানির শিকার হয়েছিল সাংবাদিকশ্রেণি। আর নতুন যে আইন প্রণয়নের কথা বলা হচ্ছে, তা সম্পন্ন হলে একই ভাবে সাংবাদিক এবং মুক্তচিন্তকরাই হয়রানি হবে।
এখন কথা হচ্ছে, একজন লেখক কিংবা সাংবাদিকের লেখা বা তার দেয়া তথ্যে কোনো প্রকার আইন লঙ্ঘন হয়েছে কি না, সে বিচার বিশ্লেষণ করার অধিকার কিন্তু চলে যাচ্ছে পুলিশের ওপর। যেহেতু ১৯ ধারায় অভিযোগ দায়ের হলে তদন্ত বা ওয়ারেন্ট ছাড়া পুলিশ চাইলেই গ্রেপ্তার করার অধিকার পাচ্ছে, তাহলে একজন পুলিশের ওপর এতটা দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া কতটা যৌক্তিক? আমরা মনে করি একজন পুলিশের ওপর এতটা দায়িত্ব অর্পিত করা ঠিক হবে না। এতে করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হবে। তাই ৫৭ ধারার বিবর্তনমূলক কোনো আইন যাতে প্রণীত না হয়, সেদিকটা লক্ষ্য রাখা উচিৎ। তা না হলে ৫৭ ধারার মতো নতুন এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হবে।
অবাধ মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা আমরা চাই। কোনো ভাবেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা কাম্য নয়। গণতান্ত্রিক ধারায় পরিচালিত একটিদেশের নাগরিকের মতপ্রকাশের ওপর কোনো রকম হস্তক্ষেপ করা মানেই সেদেশের গণতন্ত্র চর্চায় ব্যঘাত ঘটানো, যা কাম্য হতে পারে না। প্রকাশনার ক্ষেত্রে কিছু বিধিমালা মেনে চলা উচিত বলে আমরাও মনে করি। আর সেই বিধিমালার জন্য আমাদের দেশে ৭৩ সনের যে প্রকাশনা আইন রয়েছে, সেটিই যথেষ্ট। এরপর আর কোনো আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করছি না।
এরপরও সরকার ৫৭ ধারা করেছিল, এবার সমালোচনারমুখে তা বিলুপ্ত করে ‘১৯ ধারা’ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। এই দুটি আইন একটু এদিক আর সেদিক হলে কাজ একই! তাই প্রশ্ন হচ্ছে আইন করে মতপ্রকাশের ওপর তদরকি করাটা কতটা সভ্যতার লক্ষণ হতে পারে? আমরা প্রত্যাশা করবো, অবাধ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সরকার তার নাগরিকের জন্য সুনিশ্চিত করবে। সেক্ষেত্রে আমরা আরও প্রত্যাশা রাখি, ‘৫৭ ধারা’ বিলুপ্ত হোক কিন্তু এই আইনের আদলে নতুন কোনো আইন যেন করা না হয়। গণতান্ত্রিক চর্চা সুমন্নত রাখার জন্য মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অত্যাবশ্যক। সরকার এদিকটা বিবেচনা করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
লেখক: কবি ও সাংবাদিক