প্রসঙ্গ ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন: শেষ কোথায়?
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২২:০৫
শিশু, অষ্টাদশী কিংবা পঞ্চাশোর্ধ, ‘ধর্ষণ’ নামক ব্যাধি থেকে আজ কোনো নারীই যেন নিরাপদ নয়। দিন দিন অপ্রিতিরোধ্য হচ্ছে এই জঘন্যতম কর্মটি। নারীদের কাছে আজকাল ‘বাঘ’ যতটা না ‘ভয়ঙ্কর’, তার চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ‘পুরুষ’ যা উদ্বেগের কারণ।
রাস্তা-ঘাট, হাট-মাঠ, বাস-ট্রেন, স্কুল-কলেজ, কর্মস্থল কিংবা আপন গৃহস্থল কোথায় নারী নিরাপদ? শিক্ষক, ডাক্তার, কর্মচারী, পুলিশ, আত্মীয়-স্বজন, চাচা-মামা-খালু, দুলাভাই কার কাছে নারী নিরাপদ? যখন নিজের কাছে নিজেই এই প্রশ্নগুলো করি, তখন লজ্জায় গুটিসুটি হয়ে যাই। প্রতিটি ধর্ষণ ঘটনায় পুরুষ হিসেবে আমিও লজ্জিত হই। শুধু আমি কেন? বিবেকবান প্রতিটি পুরুষই এসব ঘটনায় লজ্জায় কুকড়ে যাবেন।
গাড়িতে পুরুষ যাত্রী, বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন, চাচা-মামা-খালু, দুলাভাই, স্কুল-কলেজে শিক্ষক, কর্মস্থলে সহকর্মী কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হতে হয় নারীকে। শুধু তাই নয়, ধর্ষণ বা গণ-ধর্ষণের মতো ভয়ঙ্কর ঘটনার শিকারও হতে হচ্ছে নারীকে। কোনো কোনো সময় ধর্ষণ-গণ-ধর্ষণের পর খুনের শিকারও হতে হয়!
ছাত্রী, শিশু, যুবতী, আয়া, বুয়া, গৃহবধূ কে নিরাপদ? নাহ্, কেউ নিশ্চিত নিরাপদ নন। নারী বুক উজাড় করে দু’দণ্ড মুক্ত নি:শ্বাস ফেলবে, সে নিশ্চয়তা নেই। ধর্ষণ-যৌন নিপীড়ন এর থেকে কী নারীর নিস্তার নেই?!
অনেক নারীর কাছে পুরুষ মানেই ‘ধর্ষক’! এই বুঝি কোন পুরুষ এসে ‘ধর্ষণ’ করবে; ইভটিজিং কিংবা বিভিন্ন ছুতোয় গায়ে হাত দিবে! এর থেকে না কন্যা, না ভগ্নি, না জননী কে নিরাপদ? মানুষের নৈতিকতার যখন চরম অধঃপতন ঘটে, তখনই তারা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ সংঘটিত করে। আর এ ঘটনাগুলো যখন দেশে অহরহ ঘটতে থাকে, তখন অনুমান করা যায়, আমাদের নৈতিকতার কতটা অধঃপতন হয়েছে। এ আমাদের জন্য চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার।
বর্ষবরণের দিন (১৪ এপ্রিল, ২০১৫) টিএসসিতে জনসমক্ষে, স্বামীর সামনে স্ত্রী, সন্তানের সামনে মা, মায়ের সামনে মেয়েকে হতে হয়েছে যৌন নিপীড়নের শিকার! অথচ বর্ষবরণকে ঘিরে ওই এলাকায় নেয়া হয়েছিল তিন স্তরের নিরাপত্তা! দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরায় সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছিল এরপরও ওই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে, যে ঘটনায় পুরো জাতি হতভম্ব!
ওই ঘটনায় চারিদিকে যখন নিন্দা, প্রতিবাদের ঝড়, তখন পুরো জাতি আরো একবার হতাশ, হতবাক হয় ওই পুলিশ দ্বারা যখন প্রতিবাদকারী নারীরা উল্টো নির্যাতনের শিকার হয়েছিল! এ দু’টি ঘটনাকে ঘৃণিত, জঘন্য না বলে কি উপায় আছে? অপরাধবিজ্ঞানীর এসব ঘটনাকে কোন সংজ্ঞায় ফেলবেন, তা আমার জানা নেই।
সে বছর টিএসসির ওই ঘটনা এবং পরবর্তীতে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পুলিশী আচরণের ঘটনায় যখন সচেতন মানুষগুলো ক্ষুব্ধ-বিক্ষুব্ধ, ঠিক তখনই (২২ মে, ২০১৫) রাজধানীতে ঘটে আরো একটি ঘৃণিত, ন্যক্কারজনক ঘটনা! এদিন একদল নরপশু একটি গারো মেয়েকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে! আবার এ ঘটনার দু’দিনের মাথায় (২৩ মে, ২০১৫) স্বামীকে অচেতন করে চলন্ত ট্রাকে নারী শ্রমিককে পাশবিক নির্যাতন করা হয়! এছাড়া এসব ঘটনার সপ্তাহ আগে রাজধানীর পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চলন্ত বাসে গণ-ধর্ষণের শিকার হয় আরেক পোশাক-শ্রমিক!
অপরদিকে (২৬ এপ্রিল, ২০১৫) লুবনা জেবিন নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষিকাও যৌন-নিপীড়নের শিকার হয় নিজ ক্যাম্পাসে একই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা দ্বারা! এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষিকা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী যৌন-নিপীড়নের ঘটনা অমরা সকলেই জানি।
এছাড়াও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও একই কলেজ থিয়েটারের (ভিসিটি) কর্মী সোহাগী জাহান তনু’র লাশ (২০ মার্চ, ২০১৬) কুমিল্লা সেনানিবাসের অলিপুর এলাকায় একটি কালভার্টের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। যে ঘটনাটি আমাদের পুরো জাতিকে দারুণভাবে নাড়া দিয়ে গেছে।
শুধু তাই নয়, ২০১৬ সালের ১৯ অক্টোর পার্বতীপুরে ৫ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মুষড়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছিল আমাদের সমগ্র পুরুষ জাতির। এক সাইফুল ইসলামের কারণে সেদিন চরমভাবে লজ্জিত হতে হয়েছিল আমাদের! এত কিছুর পরও ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, যৌন হয়রানি রোধ করা যাচ্ছে না।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবমতে, ২০১৬ (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) দেশে ধর্ষণ ও ধর্ষণের জন্য শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে ৭২৪ জন নারীকে। এর মধ্যে পাঁচ বছর থেকে শুরু করে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে ৬৫ নারী ধর্ষণের জন্য আক্রমণ, ৪৪৪ নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে, গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৯৭ নারী ও ১৮ মেয়েশিশু। এছাড়া ধর্ষণ পরবর্তীতে হত্যা করা হয়েছে ৩৭ নারীকে। তবে সব ‘চে উদ্বেগের বিষয় হল শিশু ধর্ষণের ঘটনা। এ বছর ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে ৬২ মেয়েশিশুকে এবং ৭ থেকে ১২ বছর বয়সী ১৭৮ জন শিশু-কিশোরীকে!
তবে, ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে শিশু-নারী ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের সংখ্যা ছিল আরো বেশি। একই সংস্থার হিসাব মতে, এই বছরে দেশে ধর্ষণ ও ধর্ষণের জন্য শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৮৪৬, যা গত বছরের চেয়ে ১২২ জন বেশি। এর মধ্যে ছয় বছরের কম থেকে শুরু করে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে ৯৪ (গত বছর ৬৫) নারী ধর্ষণের জন্য আক্রমণের শিকার হয়েছে, ৪৮৪ (গত বছর ৪৪৪) নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে, গণ-ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২৪৫ (গত বছর ১৯৭) নারী ও ২৩ (গত বছর ১৮) মেয়েশিশু ধর্ষণের শিকার হয়।
এছাড়া ২০১৫ সালেও ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছে ৬০ (গত বছর ৩৭) নারী। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ি, ২০১৫ সালের তুলনায় গত বছর শিশু-কিশোরী ধর্ষণের সংখ্যা ছিল বেশি। ২০১৫ সালে এর সংখ্যা ছিল ৫৩ যা ২০১৬ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ তে।
ধর্ষণের ঘটনা যখন ঘটে, তখন কেউ কেউ আছেন, এ ঘটনার মূলে নারীদেরকেই দায়ী করেন! তাদের যুক্তি নারীদের চলাফেরা, খোলা-মেলা পোশাক ধষর্ণকাণ্ডে দায়ী! তারা খোলামেলা পোশাক পরে চলাফেরা করে, নিতম্ব দুলিয়ে হেঁটে যায়, তাঁদের উন্মুক্ত পিঠ, চিবুক, উন্নত বক্ষদ্বয় পুরুষের মাঝে কাম উত্তেজনার উদ্রেক হয়! কিন্তু, পুজা কিংবা তার বয়সি যে শিশু এখনো বুঝতে শিখেনি যৌনতা কি, নিতম্ব দুলিয়ে হাঁটতে জানে না, নেই উন্নত বক্ষদ্বয়, সেই শিশুরা কেনো ধর্ষণের শিকার হয়? এর কোনো উত্তর জানা আছে কী?
আবার পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আর ভিনদেশী সংস্কৃতির আগ্রাসনের কারণে ধর্ষণ বা যৌন-নিপীড়নের মতো ঘটনা ঘটছে বলেও দাবী করে থাকেন কেউ কেউ! সত্যিই কী এ কারণ নাকি এসব খোঁড়া যুক্তি ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা’? এসব যুক্তি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মূলত সেকেলে দৃষ্টিভঙ্গি, আমাদের নৈতিকতার অধঃপতনের কারণে এ ঘটনা ঘটছে।
এছাড়া চলমান আইন প্রয়োগে শিথিলতা, কার্যকর পুলিশি তদন্তে ব্যর্থতা এবং বিচার প্রক্রিয়ার বিলম্ব, সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়িত্বশীলতা এবং জবাবদিহিতার অভাব এবং নির্যাতিতার ক্ষেত্রে ‘সুরক্ষা’ নীতি না থাকা এবং পুলিশি ‘তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা’ ধর্ষণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
শুধু তাই নয়, কোনো কোনো সময় পুলিশ মামলা নিতে দেরি করায় ধর্ষকরা পালানোর সুযোগ পেয়ে যায়। আবার মামলা হলেও ক্ষমতাসীনদের প্রভাবে অনেক মামলা শেষ হয়ে যায়। পাশাপাশি অভিযুক্ত যদি ক্ষমতাধর ব্যক্তি হয়, তবে বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ না করার প্রবণতা অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে দেখা যায়। ধর্ষণ বা যৌন-নিপীড়নের মত ঘৃণ্য অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধির পেছনে নারীর প্রতি সামাজিক মনোভাবও একটা কারণ। নারীর প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না হওয়ায় যৌন সহিংসতার ঘটনার বৃদ্ধি পাচ্ছে। শৈশব থেকেই ছেলেরা পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠছে। নারীকে সম্মান করার বিষয়ে তারা শেখার সুযোগ পাচ্ছে খুব কম। যৌন শিক্ষা নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে সেগুলোও পর্যাপ্ত জ্ঞান এবং সচেতনতা সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হওয়ায় ধর্ষণ বৃদ্ধির আরো একটি কারণ।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের হিসেব মতে, সারাদেশের আদালতগুলোতে দেড় লক্ষাধিক ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলা ঝুলে আছে। এসব মামলার বিচার চলছে কচ্ছপ গতিতে। মামলা নিষ্পত্তির হার প্রতি বছরে ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এরমধ্যে এক হাজারে সাজা পাচ্ছে সাড়ে ৪ জন। ব্রাক-এর একটি গবেষণায় (২০১৪) দাবি করেছিল, ধর্ষণ মামলার ৯৯ শতাংশ আসামীরই শাস্তি হয় না।
ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে গত ২০০১-২০১৫ সাল পর্যন্ত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন ঘটনায় ২২ হাজার ৩৮৬ জন চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এরমধ্যে মামলা হয়েছে ৫ হাজার ৩ টি। রায় ঘোষণা হয়েছে ৮‘শ ২০ টি। শাস্তি হয়েছে ১ ‘শ ১ জন আসামীর। রায় ঘোষণার শতকরা হার ৩ দশমিক ৬৬ এবং শাস্তির হার দশমিক ৪৫ শতাংশ।
আমাদের সমাজে তরুণী থেকে শুরু করে বয়স্ক নারীরাও ধর্ষণের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। অভিযুক্ত ধর্ষকদের বেশিরভাগ সময়েই কোনো শাস্তি হচ্ছে না। যার ফলে এ ঘটনাগুলো ক্রমেই বেড়ে চলেছে। উৎসাহিত হচ্ছে অন্যরাও ধর্ষণ করতে।
মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর হিসাবে ২০০১-২০১৫ সাল পর্যন্ত দেশে ১০ হাজার ৮৩২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মহিলা পাঁচ হাজার ৭০৫ জন, মেয়েশিশু পাঁচ হাজার ২০, গণধর্ষণ এক হাজার ৭৩৬টি, ধর্ষণের পর হত্যা এক হাজার ৩১২টি।
যে দেশে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা নারী, সে দেশে নারী নির্যাতন, যৌন-নিপীড়ন, ধর্ষণ, নারীর প্রতি সহিংস আচরণের মতো ঘৃণ্য কাজ দিন দিন বেড়েই চলেছে আবার এসব ঘটনায় বিচারের হার তলানিতে এ আমাদের জন্য জন্য উদ্বেগের কারণ।
বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় নারী ও শিশু ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু সেই আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেক সময় দীর্ঘসূত্রতার কারণে ভুক্তভোগীরা বিচারের আশা ছেড়ে দেয়। আবার আইনের ফাঁক গলে ধর্ষকরা জামিন পেয়ে বাইরে এসে ফের ধর্ষণ করছে। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি, সামাজিক চাপ ও সমাজে নিগৃহীত হওয়ার আশঙ্কার ফলে অনেক নারীই লড়াই করার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেন।
এমন যদি চলতে থাকে, যথাযথভাবে আইনের প্রয়োগ না হয় এবং বিচার নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে ধর্ষণের মত অপরাধ একের পর এক এদেশে ঘটতেই থাকবে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে একটা সময় এ দেশে যৌন-নিপীড়ন, ধর্ষণ মহামারি আকার ধারণ করবে। দেখা যাবে এর থেকে রক্ষা পেতে নারীকে ঘরের চার দেয়ালে মধ্যে বন্দি হয়ে থাকতে হবে। বর্তমান ঘটনাগুলো কিন্তু তেমনই ইংগিত করছে।
যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণ ঘটনা রোধে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগের কোন বিকল্প নেই। অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হলে এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ সমাজ থেকে হ্রাস পাবে। আর যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে একদিন নারীদেরকেই বাধ্য হয়ে পথে নামতে হবে ‘কাটারি’ হাতে নিয়ে।
লেখক: ব্লগার