আদর্শ পুরুষ হয়ে উঠুন
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০১৬, ২৩:৫৪
গরমের মধ্যে ঘেমে নেয়ে সর্দিগর্মি লাগাটা খুবই স্বাভাবিক। যে মেয়েটি একমাথা রোদের মধ্যে কটকটে কালো রঙের শাড়িটি পরে এসে দাঁড়িয়েছে শুধু আপনি খুশি হবেন বলে, ভীষণ গরমে চুল ছেড়ে দিয়েছে এবং ঘেমে যাওয়াকে মালুম করছেনা শুধু আপনার চোখে সে সুন্দর হবে বলে, তার ভালোটিও দেখতে শিখুন। তার ভালোটি তাকেও দেখতে শেখান। খোঁজ নিয়ে দেখুন বাসায় ফিরে মেয়েটি একটি আরামদায়ক ঢোলা পোশাকই পরবে। পায়ের হীলটি খুলে চপ্পলটি পায়ে দেবে। তাকে বলুন- এরপরদিন আরামদায়ক কিছু পরে এসো। দেখুন সে কত খুশি হয়!
আপনি স্যান্ডোগেঞ্জি পরে থাকবেন আপনার গায়ে গরম লাগছে বলে, কিন্তু বাসায় আপনার ছোটোবোনটি ওড়না দিয়ে গা মুড়ে রাখবে এটাও আশা করবেন, বিষয়টা কেমন হয়ে গেলো না? আমার মা একদিন বলেছিলেন- জামাটা বদলে এসো, বগলের লোম দেখা যাচ্ছে। আমি বলেছিলাম- বাবাকেও বলে এসো, সে স্যান্ডোগেঞ্জি পরেছে, তারও বগলের লোম দেখা যাচ্ছে।
রান্নাঘরে ঘেমে নেয়ে ওঠা বউটির রান্না করা আলুর দম, দোপেয়াজায় কোন মসলা কম হলো, কোথায় লবণ কম হলো সেসব নিয়ে কথা বলার আগে নিজে রান্নাঘরে যান। তরকারি কুটুন, পেঁয়াজের ঝাঁজ সহ্য করুন খানিকক্ষণ। সাহায্য করুন তাকে।
সারাদিন আদর্শ মা, আদর্শ বউ খোঁজা বাদ দিয়ে নিজে আদর্শ পুরুষ হয়ে উঠুন। মানবিক হয়ে উঠুন। সত্যিকারের বীরপুরুষ হতে ঢাল তলোয়ার হাতে চেঙ্গিস খান হতে হয়না, উড়িষ্যা বিহার জয় করে এনে কারো পায়ে ফেলতে হয়না। বরং যে নারীটি আপনার সাথে এক বিছানায় শোয়, এক বাড়িতে থাকে, আপনার সন্তান ধারণের কষ্টটুকু একা করে, তার প্রতি মানবিক হোন। তাকে বলুন- তোমাকে জয় করার জন্য একশোটি তলোয়ার নেই আমার, মানবিকতাসম্পন্ন একটি মন আছে। চলবে তো?
জান্নাতুন নাঈম প্রীতি’র ফেসবুক থেকে