'ছাড় ভিডিও, দেখুক পৃথিবী'

প্রকাশ : ০৮ মে ২০১৭, ২১:২৪

প্রীতি ওয়ারেছা

'ভিডিও ছেড়ে দেবো'- এই বাক্যের দৈনতা মেয়েরা যতদিন না অতিক্রম করতে পারবে ততদিন হাজার হাজার ধর্ষণ অপরাধের খবর মিডিয়ার সামনে আসবে না। ধর্ষণ ভয়ংকর একটা অপরাধ। এখানে ধর্ষিতা মেয়ে কোনভাবেই অপরাধী নন। মেয়েদের শরীর সম্ভ্রম রক্ষার বস্তু নয় যে ভিডিওতে শরীর দেখা গেলেই সম্ভ্রমহানি ঘটবে! চারদিকে গেল গেল রব উঠবে! 

সম্ভ্রম, সম্মান এই শব্দগুলোর বিশেষত্ব মেয়েদের শরীরের ওপর নির্ভর করে না, করে কর্মে। মেয়েদের শরীরকে রাখঢাক এবং সম্ভ্রমের জায়গায় অধিষ্ঠিত করার বিষয়টা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অবদান। আমরা নারীগণও শরীরকে সম্ভ্রমের জায়গায় স্বীকৃতি দিয়ে পুরুষের সেই অবদানকে খুঁটিগেড়ে প্রতিষ্ঠা করে চলেছি। 

ভিকটিমের প্রতি অনুরোধ, জোর গলায় বলুন- ছাড় ভিডিও। দেখুক পৃথিবী। যারা দেখবে তোর শাস্তির ভার তারাই নির্ধারণ করবে।

গতকাল থেকে ফেসবুক সরব সাফাত-নাঈম-সাকিফ নামের তিন ঘৃণিত ধর্ষককে নিয়ে। তারা প্রভাবশালীদের সন্তান। জানি সন্তানের কুকর্মে পিতা-মাতার খুব বেশি একটা দায় থাকে না, কিন্তু অপরাধী সন্তানকে বাঁচানোর চেষ্টা করা ধর্ষণের মতোই অপরাধ। ভিকটিম যারা তাদের কাছ থেকে এতোদিন পর ধর্ষণজনিত আলামত পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তাই বলে কী অপরাধ প্রমাণিত হবে না!  

তাহলে তো অপরাধীরা ধর্ষণের পর বারবার এভাবেই সময়ক্ষেপণের মাধ্যমে আলামত নষ্ট করে পার পেয়ে যাবে!
 
আশার কথা হলো, নারীদের পাশাপাশি অসংখ্য পুরুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষকদের বিচারের দাবীতে সোচ্চার হয়েছেন, ঘৃণা জানাচ্ছেন।

আমরা নারীরা এভাবেই পুরুষদের সাথে নিয়ে পথ চলতে চাই। পুরুষ মানেই ধর্ষক নন, পুরুষ মানেই নারীর বিরুদ্ধপক্ষ নন।

প্রীতি ওয়ারেছা'র ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত