তাহলে পর্ন মুভির কলাকুশলীরাই সবচেয়ে মুক্তমনা?
প্রকাশ : ০৬ মে ২০১৭, ২৩:০৩
কাল ঘুমের মধ্যেও কয়েকবার মনে হয়েছে আমি রাস্তায় হাঁটছি, আমার শরীরে কোনো কাপড় নেই! যদিও গেইম অব থ্রোনস এর নারী শাসকের সাথে আমার শুধু নারী হওয়া ছাড়া দূরতম কোনো সাদৃশ্যও নেই। শেখ হাসিনার সাথেও তাই। তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে যখন ট্রল করা হয়েছিলো তখনো আমার এরকমই মনে হয়েছিলো। খালেদা জিয়াকে নিয়ে যখন করা হয়েছিলো তখনও এমনই অনুভব আমাকে তাড়া করেছিলো। এই ধরণের ফটোশপ উপভোগ করতে পারলাম না! এখন কি তবে মুক্তমনার খাতা থেকে আমার নাম কেটে দিয়ে, আমাকে দলকানাদের দলে ফেলে দেবে?
আমার মনে হয় গেইম অব থ্রোনস এর শাসকটি নারী বলেই তার জন্য এমন একটি পরিণতি চিত্রায়িত হয়েছে। পুরুষ হলে চিত্রনাট্য অন্যভাবে লেখা হতো। শেখ হাসিনাকে আমি দুঃশাসকই বলবো। সবসময় তা বলিও। তার পরিণতিও তার ভোগ করা উচিত। করতে হবেই।
কিন্তু ঐরকম ফটোশপ করে ট্রল বাঁশের কেল্লাবাসীই করুক, চেতনাজীবি করুক আর মুক্তমনাই করুক অবশ্যই সে বেড়ে উঠেছে মানসিক অসুস্থতার মধ্যে। তাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টাও একই রকম অসুস্থতা। এটাকে যদি মুক্তচিন্তা চর্চা বলি তাহলে পর্ন মুভির কলাকুশলীরা সবচেয়ে আগে মুক্তমনা।
[টাইটানিক মুভিটি দেখার পর আমি প্রায়ই ভাবতাম, আমি ঐরকম সোফায় আধশোয়া আর আমার প্রেমিক আমার ছবি আঁকছে। আজও আমি সেই ঘোর থেকে বেরুতে পারিনি।]
চৈতী আহমেদ এর ফেসবুক থেকে