নারী দিবস পালনের উপর মানুষ হওয়া নির্ভর করে না
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০১৭, ২৩:০২
ব্রিটেইনে সম অধিকার তুলনামূলকভাবে বেশি আছে বলেই হয়তো নারী অধিকারের সচেতনতা সৃষ্টির জন্য একটা বিশেষ দিন থাকা নিয়ে এখানে কারো তেমন একটা মাথা ব্যথা নেই।
আজ (৮ মার্চ) যার সাথেই দেখা হয়েছে, সে'ই স্বাভাবিক ভাবে নারী দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। পক্ষে, বিপক্ষে কোনোদিকেই বাড়াবাড়ি নেই।
আমার এক পুরুষ কলিগ বলল ‘শুভ নারী দিবস জেসমিন’
আমি বললাম, ‘শুভ নারী দিবস রিচার্ড। হ্যাভ আ গ্রেট টাইম।’
সে বলল, ‘আই ওলওয়েজ হ্যাভ আ গ্রেট টাইম উইথ উইমেন।’
আমি হেসে বললাম, ‘ও আই সি। আই ওউন্ট আস্ক ফর মোর ডিটেলস।’
ও বলল, ‘ইট’স নট হোয়াট উই থিংক। আই মিন আই এনজয় উইমেন’স কোম্পেনি ইন্টেলেকচুয়ালি মোর দ্যান এনিথিং এলস।’
আজ দেশি বিদেশি অনেক নারী পুরুষের সাথেই দেখা হলো, কথা হলো। আপনারা শুনে কষ্ট পেতে পারেন, রাগ করতে পারেন কিন্তু সত্য সত্যই থেকে যায়। বিদেশি পুরুষদেরকেই আমার কাছে আমার প্রতি বেশি শ্রদ্ধাশীল মনে হয়েছে, কারণ তারা শুধু ফাঁকা বুলিই আউড়ায় না, আমাকে আসলেই মানুষ মনে করে, আর সেজন্যই হয়তো নারী দিবস পালন করা নিয়ে প্রতিবাদের ঝড়ও উঠায় না।
নারী দিবস পালন করা না করার উপরে নারীর বা পুরুষের মানুষ হয়ে উঠা নির্ভর করে না। পুরোটাই মানসিকতার ব্যাপার।