বেশ্যা গালি নয়, আশীর্বাদ!
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০১৬, ২২:৫৭
বেশ্যা, নষ্টা, জারজ- এই শব্দগুলিকে আমার ঠিক গালি বলে মনে হয়না। এই শব্দগুলো বেশিরভাগই তৈরি করেছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। তৈরি করেছে নিজেদের সুবিধার্থে। আমার তো মনে হয় সমাজের সবচেয়ে স্বাধীন মানুষ বেশ্যারা। কারণ তারা এই গালিগুলোর তোয়াক্কা করেনা। কেন করবে? তারাতো অন্যায় কিছু করছেনা। যদি তদের পেশাকে অন্যায় বলে ধরা হয় তবে যারা বেশ্যালয়ে যায় তাদের জন্য আলাদা কোনো শব্দ কেন নেই? তারা পুরুষ বলে?
কেউ জারজ বলেই বা কেন গালি খাবে? সে কি নিজের ইচ্ছেতে জন্ম নিয়েছে? তার বাবার সঙ্গে মায়ের একটি বৈধ বিয়ে হয়নি- সেটির দায় সে কেন বয়ে বেড়াবে? জারজ হওয়া তো অন্যায় নয়। বিয়ে হয়েও যেসব মেয়ে প্রতিরাতে ধর্ষিত হয় স্বামীর দ্বারা তাদের সন্তানও তো তাহলে জারজ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া উচিত। যে সমাজে একটি মানব শিশুকে জারজ বলে চিহ্নিত হতে হয়, সেটি আদৌ কি একটি সভ্য সমাজ?
এমন মেয়ে মনে হয় এই সমাজে নেই যে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এই গালিগুলো খায়নি। গালি খেয়েছে- কারণ সে শৃঙ্খল ভাঙার চেষ্টা করেছে। শৃঙ্খল ভাঙা সহজ নয়, এজন্য সাহস লাগে। অত্যাচারী পুরুষ, যারা নিজেকে নারীর প্রভু ভাবে তারাই এই সাহসটিকে ভয় পায়। একারণেই মেয়েদেরকে বলি- যখন বেশ্যা বলে, জারজ বলে, নষ্টা বলে তোমাকে কোনো অত্যাচারী পুরুষ গালি দেবে তখন বুঝবে ওটা গালি নয়, আশীর্বাদ! ওটা গালি নয়, ওটা সাহস!
জান্নাতুন নাঈম প্রীতি’র ফেসবুক থেকে