বাংলাদেশেও #মি_টু, সরব হলেন প্রিয়তি
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৩৮
রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবেক মিস আয়ারল্যান্ড মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি। নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে রফিকুল ইসলাম এর একটি ছবি পোস্ট করে তার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের একটি ঘটনায় যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেন তিনি।
সারা বিশ্বে আলোড়ন তোলা #মি_টু মুভমেন্ট এর আদলে অভিযোগ তুলে ফেসবুক টাইমলাইনে প্রিয়তি লিখেন, "এই লোকটি তার অফিসে হঠাৎ করে টেবিল থেকে উঠে এসে আমার জামার ভিতর হাত ঢুকিয়ে আমার বক্ষে চাপ দেয়, ২০১৫ সালের মে মাসে তাদের প্রোডাক্ট প্রমেক্স এর বিজ্ঞাপন এর পেমেন্ট আনতে গিয়ে ( এই পেমেন্ট যদিও আমি পাইনি)। Syeda Jemrina Zaman Lopa আপু, আপনার নিশ্চই মনে আছে, আপনাকে রুম থেকে বের করে দিয়েছিল আমার সাথে প্রাইভেট কথা আছে এই কথা বলে। আর রুম থেকে বের হয়ে আমি আপনার কাছে কান্না করেছিলাম এই পিশাচের এই কর্মকাণ্ডে , মনে আছে আপু , নাকি অস্বীকার করবেন? Khaled Hossain Sujon , তোমার কি মনে আছে এই ঘটনার পর আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কান্না করেছিলাম এই অপমান সহ্য করতে না পেরে কিন্তু আমরা নিরুপায় ছিলাম তাদের ক্ষমতার কাছে। আমি কিন্তু তখন কারেন্ট মিস আয়ারল্যান্ড ছিলাম।"
প্রিয়তি আরো লিখেন, "বাংলাদেশের মেয়েরা ততদিন মুখ খুলবে না, #মি_টু ও হবে না, ভারতের মতো যতদিন ওরা অনুভব করবে তাদের জন্য বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীন এবং তাদের পাশে থাকবে সে যত উপরের মানুষ ই হোক না কেন।
আমি শুধু এতটুকু বলতে চাই, পুরো ঘটনাটি লজ্জায় লিখতে পারিনি কারণ ঘটনা এর চেয়ে ভয়াবহ ছিল।"
প্রিয়তির এ বক্তব্য সাড়া ফেলেছে ফেসবুকে। অনেকেই ভাবছেন প্রিয়তির হাত ধরে বাংলাদেশেও '#মি_টু আন্দোলনের সূত্রপাত হবে। তবে তার অনেক ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীরা আশঙ্কা করছেন এই অভিযোগ এর কারণে ভবিষ্যতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন তিনি।
উল্লেখ্য, হলিউড ও বলিউডের নাম করা তারকা শিল্পীরা ইতোমধ্যেই #মি_টু এর মাধ্যমে তাদের উপর হওয়া যৌন হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছেন যা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সারা বিশ্বের গণমাধ্যমে। বাংলাদেশে এখনো এই আন্দোলন সেভাবে গড়ে উঠেনি। এর পেছনে কারণ হিসেবে অনেকেই বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটকে দায়ী করছেন।