দয়া করে দেখুন কার সাথে বন্ধুত্ব করছেন
প্রকাশ : ২৩ মে ২০১৬, ২৩:১৪
একমাত্র উপায় সংগঠিতভাবে রাজপথে, নগরে, বন্দরে, গ্রামে গঞ্জে ঐক্যবদ্ধভাবে এদের রুখে দেয়া।
আপনারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি স্থানে গ্রামে গঞ্জে শহরে বন্দরে ব্লাড হাউন্ডগুলো টার্গেট ঠিক করে চলেছে। যাকে হত্যা করতে চায় ও তেমন সুযোগ পায় প্রথমে তাকে ইসলাম বিদ্বেষী বলে পরিচিত করাবার একটা পাঁয়তারা করে, পাবলিক নু্ইস্যান্স তৈরী করে, সীন তৈরী করে, পাশাপাশি অনলাইনে প্রোপাগন্ডা চালাতে থাকে। প্রকাশ্যে তখন খুনের ছক কষা চলে। বেশির ভাগকেই হুমকি দেয়, আবার কখনও নিকট অতীতে কোনও হুমকি থাকে না। নীরবে হাতিয়ার নিয়ে হাজির হয়। শফিক স্যারের ঘটনাটা মনে করুন। কেন তাদের কাউকে পরিচিত করতে হচ্ছে যে সে ইসলাম ও নবীর নামে কটূক্তি করেছে?
কারণ খুনীরা সংখ্যায় অল্প এবং তাদের সমর্থকদের মধ্যে এখনও একটি বিষয়ে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এক পক্ষ বিশ্বাস করে যে, নিজ মুখে উচ্চারণ করে যারা বলেছে তারা ধর্ম মানে না শুধু মাত্র তাদেরই নাস্তিক ও ধর্মদ্বেষী রূপে হত্যা করা যাবে। কিন্তু আরেকদল বিশ্বাস করে যে, যে কেউ ইসলামের সমালোচনা করলে সে মুসলিম হলেও তাকে কাফের বলা যায়, ধর্মদ্বেষী বলা যায় এবং সে হিন্দু হলে তো কোনও কথাই নাই।
কিন্তু না, মনে রাখুন কাউকে খুন করার অধিকার আপনাকে কেউ দেয় নি। আপনার আল্লাহ ও দেয় নি। কুরআনের কোন ব্যাখ্যা আপনি মানছেন তা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। সে সব আপনাকে সুড়সুড়ি দিলে রোগ সারানো আপনার দায়িত্ব্ নইলে সমাজে বের হবেন না। ঘরের মধ্যে থাকুন। আকাশ কুসুম কল্পনার মধ্যে বাস করুন। সমাজ রাষ্ট্র সব মানুষের, আপনার একার নয়। ওকে? হত্যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আপনি যখন হত্যাকে সমর্থন দিচ্ছেন আপনাকে ক্রিমিনাল চার্জের অধীনে আনা যায়।
অনলাইনে এসব ধর্মভিত্তিক ঘৃণা ছড়ানো পোস্ট আপনারা যারা ফলো করছেন দয়া করে দেখুন আপনারা কার সাথে বন্ধুত্ব করছেন। কবিতার পেজ, নিরীহ মুসলিম পেজ দেখুন। আজ বাংলাদেশে যত মানুষ হত্যা হচ্ছে তার সাথে আপনার এই নিরীহ ফেসবুক বন্ধুত্ব কোনও না কোনওভাবে জড়িত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই তা চান না। আপনি আসলে একজন সুস্থ চিন্তার মানুষ রূপে বাঁচতে চান। কি করবেন তাহলে? সিদ্ধান্ত নিন।
এসব যে খুব সংগঠিতভাবে কোনও গোষ্ঠী করাচ্ছে তাতে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। মীর কাশেম আলীর রায় ঠেকাতে আরও কতো প্রাণ ঝরবে কে জানে।
সরকার যে এসব থ্রেট হিসেবে নিচ্ছে না তার কারণ তারা ভাবছে নিজেদের জোরেশোরে মুসলমান প্রমাণ করতে পারলেই এরা সরকার বিরোধিতা বন্ধ করে দেবে। এদের সব কাজই জামাতকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য। এরা এখন বেগম জিয়াকেও খোড়াই কেয়ার করে। হাসিনা সরকারের প্রতি তাদের যে তীব্র ঘৃণা তা তো হত্যার ধরণ দেখেই বোঝা যায়।
লীগ এখন হজম করছে তার নিজের দলের ছেলেদের কুরবানী, এ থেকেই সরকারের দশা বোঝা যায়।
এজন্যই বলেছি, একমাত্র উপায় সংগঠিতভাবে এদের রুখে দেয়া। কিন্তু রুখে দিতে হলে সংগঠকদের কৌশল, আন্তরিকতা, দলবদ্ধতা, ব্যক্তি কর্মীর নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে কিছু কৌশল ঠিক করতে হবে।
জাহানারা নূরীর ফেসবুক থেকে