‘দেশে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরী করা হচ্ছে’
প্রকাশ : ২১ জুন ২০১৭, ১৭:২৭
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার ক্যান্সার চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে আরো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরী করতে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আজ ২১ জুন (বুধবার) সংসদে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, এ লক্ষ্যে চিকিৎসকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে প্রতি বছর ২ লাখেরও বেশি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রতি ১০ লাখ মানুষের জন্য মাত্র একজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। এই চিকিৎসাও ব্যয়বহুল, বিশেষ করে দরিদ্র, নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য চিকিৎসা ব্যয় কষ্টসাধ্য-কথাটি সত্য।
তিনি বলেন, দেশের দরিদ্র ও নিন্ম আয়ের মানুষের ক্যান্সার চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে উন্নত ও আধুনিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে আওয়ামী লীগের বর্তমান আমলেই ২০০৯ সালের ৫০ শয্যা থেকে ১৫০ শয্যা এবং ২০১৫ সালের ১৫০ শয্যা থেকে ৩শ’ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। এ হাসপাতালে আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে উন্নত ও আধুনিক মানের ক্যান্সার চিকিৎসার যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করে ক্যান্সার রোগিদের স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসা বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের পুরাতন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুরোতে নতুন রেডিওথেরাপী মেশিন সংযোজনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্যান্সারের ওষুধের বিদেশ নির্ভরতা কমাতে এবং উচ্চ মূল্যের ওষুধ সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আনার জন্য দেশীয় কোম্পানীগুলোকে ক্যান্সারের ওষুধ প্রস্তুতের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালসহ দেশের যে সকল সরকারি হাসপাতাল এ রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে এবং ক্যান্সারের ওষুধ বিনামূল্যে প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বেসরকারি হাসপাতালের ব্যয় মূল্যের তুলনায় প্রায় ১০ ভাগের ১ ভাগ মূল্যে সরকারি হাসপাতালে এ থেরাপি চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিনামূল্যেও এই চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষকে স্বল্প মূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকায় বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠা বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি হাসপাতালের ওয়েল ফেয়ার হোম, ঢাকা আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার ডিটেকশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার ও দি ন্যাশনাল ইএনটি এন্ড হেড নেক ক্যান্সার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশকে সরকারিভাবে অনুদান প্রদান করা হয়েছে।