জুরাইনে স্কুলে ধর্ষণ: নিরাপত্তাকর্মীর ‘স্বীকারোক্তি’
প্রকাশ : ০৬ মে ২০১৭, ১২:২৮
রাজধানীর জুরাইন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এক কিশোরীকে আটকে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করে নিরাপত্তাকর্মী মো. স্বপন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকার হাকিম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই জামাল হোসেন বলেন, “স্বপন ধর্ষণের কথা স্বীকার করে মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানার কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ঘটনার সময় তার সঙ্গে আরও সাতজন ছিল।”
কদমতলী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, জবানবন্দি নেওয়া শেষে বিচারক স্বপনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ওসি কাজী ওয়াজেদ বলেন, "ধর্ষণের শিকার ১৫ বছর বয়সী মেয়েটির বাবা লক্ষ্মীবাজার এলাকায় নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করেন। ঘটনার ৭/৮ দিন আগে পরিবারের অগোচরে সে এক যুবককে বিয়ে করে বাড়ি ছাড়ে। বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে থাকা শুরু করলেও দাম্পত্য কলহের কারণে ২৮ এপ্রিল সে কাউকে কিছু না বলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে। পথে শাওন নামে পূর্বপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার দেখা হয়। শাওন মেয়েটিকে স্কুলের একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। পরে রাতে শাওনসহ আটজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। সকালে মেয়েটিকে একটি অটোরিকশায় তুলে দেয় শাওন"।
ওসি বলেন, ঘটনার দুদিন পর ওই কিশোরী কদমতলী থানায় এলে পুলিশ তাৎক্ষণিক মামলা নেয় এবং পরে স্কুলের নিরাপত্তাকর্মী স্বপনকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- শাওন, মুন্না, জলিল, মো. মিশাল, মো. মাসুদ, মো. সজীব ও তানজিল ওরফে তাঞ্জু। তাদের সবার বাসা জুরাইন এলাকায়। তাদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বপনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে।