সুমাইয়া অপহরণ: মুখ খুলছে না বৃষ্টি
প্রকাশ : ০১ মে ২০১৭, ১৪:৪১
অপহরণের ২৪ দিন পর বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে শিশু সুমাইয়াকে। বর্তমানে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু কি কারণে পাঁচ বছরের এই শিশুটিকে অপহরণ ও তারপর মারধর করা হলো তার কারণ জানা যায়নি এখনো।
২৯ এপ্রিল (শনিবার) পর্যন্ত সাবিনা ইসলাম ওরফে বৃষ্টি কী কারণে সুমাইয়াকে অপহরণ করেছেন, সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো জবাব দেননি। তিনি দাবি করছেন, সুমাইয়াকে তিনি লালন-পালনের জন্য নিয়েছিলেন।
তবে লালবাগ ডিভিশনের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ বলেন, সাবিনা মিথ্যা বলছেন বলে তাদের ধারণা। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন, যাচাই করতে গিয়ে তা ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে।
মো. নাজির আহমেদ বলেন, অপহরণের পর প্রথমে সুমাইয়াকে কেরানীগঞ্জের বামনকীর্তিতে নিয়ে যান সাবিনা। সেখানে তার স্বামীর বন্ধু বিল্লালকে স্বামী পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নেন। সপ্তাহ দুয়েক পর সাবিনা সুমাইয়াকে নিয়ে কদমতলীতে তার বাবার বাড়িতে ওঠেন। সাবিনা ইসলামের স্বামীর নাম কাজল। তিনি ইয়াবা বিক্রেতা এবং মাদকের মামলায় এখন কারাগারে আছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানতে পারেন, সাবিনা এর আগে পাঁচ থেকে ছয়বার ভারতে গেছেন এবং একবার ভারতে গিয়ে এক বছরেরও বেশি সময় ছিলেন। সাবিনা দাবি করেছেন, তিনি তার ফুফুর সঙ্গে ভারতে যান এবং চোরাই পথে সালোয়ার-কামিজ এনে বাংলাদেশে বিক্রি করেন। তবে তিনি ফুফুর বাড়ির যে ঠিকানা দিয়েছেন, সে ঠিকানায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
সুমাইয়ার বাবা জাকির হোসেন বলেন, সুমাইয়াকে সাবিনা লাঠিপেটা করতেন। তার মাথাতেও আঘাত এর চিহ্ন রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দাগ রয়ে গেছে। সুমাইয়া এখনো ভয় পাচ্ছে।