‘মাকেই হতে হবে সন্তানের সবচেয়ে বড় বন্ধু’
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০১৭, ১৫:২১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্তানের সবচেয়ে বড় বন্ধু হয়ে উঠতে হবে মাকে। তিনি সন্তানের সব খোঁজখবর রাখবেন। শিশুদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে মা-বাবাসহ অভিভাবকদের সচেতন নজর রাখার জোর তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
৪ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্তানকে সার্বক্ষণিক যত্নবান হতে হবে। কেবল শাসন নয় তাদের আদর-যত্নও করতে হবে। ছেলে-মেয়েরা কোথায় যায়, কী করে, সে বিষয়ে মায়েদের খোঁজ রাখতে হবে। সন্তানদের জন্য সবচেয়ে বড় বন্ধু হবেন মা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন পারিবারিক পরিবেশ তৈরী করুন যেন কোনো কথা বলার দরকার পড়লে ছেলে-মেয়ে যেন আগে মাকে বলে। কেবল মাকেই নয় বাবাকেও বাচ্চাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
সন্তান সবসময় যা চায় তাকে তা দেওয়ার ক্ষেত্রেও মা-বাবাকে সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলেরা যা চায়, অনেক সময় তাকে তা-ই কিনে দেওয়া হয়। দেখা যায়, সেসব ছেলেরাই পরে সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়ে।
‘আমি চাই মায়েরা সবচেয়ে বেশি নিজের সন্তানদের প্রতি নজর দেবেন। সেটাই আমি প্রত্যাশা করি।’
বক্তৃতার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধসহ সবরকমের আন্দোলন-সংগ্রামে নারীর অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, সবসময় বাবার (জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) পাশে থেকে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অবদান রেখেছেন মা (বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব)।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তরে ওই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেমন বাংলাদেশের মানুষের ওপর পাশবিক অত্যাচার-নির্যাতন করেছিল, তেমনি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াতও এ দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে।
‘১০ বছরের শিশু থেকে ৬৫ বছরের বৃদ্ধ, কেউ রেহাই পায়নি তাদের নির্যাতন থেকে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে তারা নির্যাতন চালিয়েছে।