যৌতুক না দেওয়ায় কলেজ ছাত্রীকে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে মেঘলা হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৬:৫৫
![](https://bangla.jagoroniya.com/templates/jagoroniya-v1/images/jagoronia.png)
![](/assets/news_photos/2017/02/17/image-6057.jpg)
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ফাতেমা তুজ জোহরা মেঘলা (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রীকে হত্যার জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার আ.স.ম আবদুর রব সরকারি কলেজ প্রাঙ্গন থেকে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রামগতি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে গিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ নেয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, এনজিও সংগঠনসহ সাধারন মানুষ। ফাতেমা তুজ জোহরা আ.স.ম আবদুর রব সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রামগতি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও আ স ম আবদুর রব সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মেজবাহ উদ্দিন হেলাল, কলেজ শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন, জোবায়েদ হোসেন বাপ্পী, হাসিবুল ইসলাম আজাদ, রাকিব হোসেন, সাইফুদ্দিন বাবু প্রমুখ।
এ সময় ব্যক্তারা কলেজ ছাত্রী মেঘলার হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. ইকবাল হোসেন জানান, ঘটনার সাথে জড়িত শ্বশুর শাহজাহান মাস্টারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
মানববন্ধন শেষে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রামগতি পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সবুজ গ্রাম এলাকায় স্বামীর বাড়িতে যৌতুক না দেওয়ায় কলেজ ছাত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা মেঘলাকে পিটিয়ে হত্যা করে স্বামী এনামুল হকসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পরে তার লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে এলাকায় প্রচারনা চালায় তারা। এ ঘটনায় পরের দিন নিহতের বাবা শহীদুল হক টিটু বাদি হয়ে রামগতি থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় নিহতের স্বামী এনামূল হক, শ্বশুর শাহজাহান মাস্টার ও শ্বাশুড়ীসহ ৭ জনকে। ওই মামলায় মেঘলার শ্বশুর শাহজাহান মাস্টারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও স্বামীসহ অন্যান্যরা পলাতক রয়েছেন।