আত্মঘাতী বিস্ফোরণ আহত নারী জঙ্গির মৃত্যু
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৬:০৬
![](https://bangla.jagoroniya.com/templates/jagoroniya-v1/images/jagoronia.png)
![](/assets/news_photos/2016/12/24/image-5055.jpg)
ঢাকার দক্ষিণখানের আশকোনায় হাজিক্যাম্পের কাছে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়িতে অভিযান শেষ করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সোয়াত টিম।
এর আগে পুলিশ তাদের বের হয়ে আসার আহ্বান জানালেও ওই বাড়ির ভেতরে থাকা জঙ্গি সুমনের স্ত্রী সুইসাইডাল ভেস্ট বা বিস্ফোরক ভর্তি আত্মঘাতী জ্যাকেটের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাড়ির ভেতরে থাকা তিনজনকে আত্মসমর্পণ করতে বললে বোকরা পরা সেই নারী ধীরে ধীরে হেঁটে ঘরে থেকে বের হন। তখন তাকে হাত উঁচু করতে বললে তিনি তা করে ফের নামিয়ে নেন এবং বোরকা পরা থাকায় বোঝা যাচ্ছিল না তার কোমরে সুইসাইডাল ভেস্ট রয়েছে কিনা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘরের দরজার কাছে এসে বিস্ফোরণ ঘটান। লুপিয়ে পড়েন মাটিতে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ অভিযান শুরু হয়। অভিযান শুরুর পরপর নারী জঙ্গি গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই-তিনজন সদস্য আহত হন।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, চারজন আত্মসমর্পণের পরও তিনজন ভবনের ভেতর ছিল। তারা হলেন জঙ্গিনেতা তানভীর কাদেরীর ছেলে আবির, জঙ্গি ইকবালের সাত বছরের মেয়ে ও পলাতক জঙ্গি সুমনের স্ত্রী। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুমনের স্ত্রী নিচে নেমে এলে পুলিশ মনে করে সে আত্মসমর্পণ করবে। তবে সুমনের স্ত্রী আত্মসমর্পণ না করে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় ও তার দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে দেখা যায় সুমনের স্ত্রী মারা গেছে। বিস্ফোরণে ইকবালের মেয়ে আহত হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।