চুরি যাওয়া নবজাতক উদ্ধার, বাবা-খালা আটক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০১৯, ২৩:০৬
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া নবজাতককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েলের নেতৃত্বে ২৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোরে আধুনিক সদর হাসপাতাল এলাকা থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই নবজাতকের বাবা কাশেম মিয়া, খালা ঝরনা আক্তার ও সহযোগী শিউলি আক্তারকে আটক করা হয়েছে।
নবজাতকের পরিবার, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আবুল কাশেমের স্ত্রী ববিতা আক্তার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এরপর পেটের সেলাই কাটার জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি ববিতাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ববিতা অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ওই দিন ওখানেই ভর্তি করা হয়। পরের দিন দুপুরে ববিতাকে মহিলা ওয়ার্ড থেকে লেবার ওয়ার্ডে পাঠিয়ে সেলাই কেটে দেওয়া হয়। এসময় ববিতা তার নবজাতক সন্তানকে তার বোন ঝরনা বেগম ও শাশুড়ি জায়েদা আক্তারের কাছে রেখে যান। জায়েদা শিশুটিকে কোলে নিয়ে লেবার ওয়ার্ডের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় বোরকা পরা এক নারী আদর করে শিশুটিকে তার কোলে তুলে নেন এবং একপর্যায়ে কৌশলে জায়েদার কাছ থেকে শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঐ দিনই শিশুটির বাবা আবুল কাশেম থানায় নবজাতক চুরির অভিযোগ দেন।
পুলিশ জানায়, নবজাতক চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শিশুটির দাদি, বাবা ও খালাকে পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার ভোরে শহরের জয়নগর এলাকায় সদর হাসপাতালের কাছে একটি ব্যাগে করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে নবজাতকের বাবা কাশেম মিয়া, খালা ঝরনা আক্তার ও তাদের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় শিউলি আক্তারকে আটক করে। পুলিশের দাবি, লোভে পড়ে নবজাতকের বাবা কাশেম মিয়া ও খালা ঝরনা আক্তার পরিকল্পনা করে শিশুটিকে ঢাকায় তাদের পরিচিত নিঃসন্তান এক নারীর কাছে দিয়ে দেন। শিশুটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে তার মায়ের কোলে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘আটক ওই তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’