নানির কোলে চড়ে সাক্ষ্য দিতে আসে শিশুটি
প্রকাশ : ২৩ মে ২০১৮, ১৮:৩১
দিনাজপুরের চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলার ভুক্তভোগী পাঁচ বছরের শিশুটি নানির কোলে চড়ে আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসে।
আদালত প্রাঙ্গনে শিশুটির নানি জানান, ঘটনার পর থেকে শিশুটি আর হাঁটতে পারে না। তিনি মামলাটি বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত বিচার শেষ করার দাবি জানান। তিনি আসামিদের ফাঁসি দাবি করেন।
গত ২২ মে (মঙ্গলবার) শুনানির জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জালাল উদ্দিন আহাম্মদের কাছে নথি উপস্থাপন করা হয়। মামলার শুরুতে বাদি হিসেবে সাক্ষ্য দেন শিশুটির বাবা। এসময় শিশুটিকে নানিসহ চেয়ারে বসার ব্যবস্থা করে দেন বিজ্ঞ বিচারক। আদালত জানায়, আসামির আইনজীবি অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি, তাই সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। আগামি ৭ জুলাই পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ঠিক করা হয়। দিনাজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর বাড়ির সামনে খেলার সময় সাইফুল নামে এক বখাটে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এরপর শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টাসহ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতসহ সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে মৃত ভেবে বাড়ির পাশের একটি হলুদক্ষেতে পুঁতে রাখে। এসম্ব কাজে তাকে সহায়তা করে আফজাল হোসেন কবিরাজ। ঐদিন রাতে শিশুটিকে খোঁজে না পেয়ে মেয়ের বাবা পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
১৯ অক্টোবর সকালে তাকে বাড়ির পাশের হলুদক্ষেত থেকে অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ল্যাম্ব হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২০ অক্টোবর পার্বতীপুর থানায় একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে আসামি করে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।