পিরোজপুরে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২০:৫০

জাগরণীয়া ডেস্ক

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের মামলায় তিনজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ ৫ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান এ রায় দেন। 

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নেছারাবাদ উপজেলার রঙ্গাকাঠি গ্রামের সুনীল সিকদারের ছেলে বিধু সিকদার (৩৭), একই গ্রামের স্বর্ণকুমার সমাদ্দারের ছেলে সুব্রত সমাদ্দার (৩৫) এবং উপজেলার ব্যাশকাঠি গ্রামের গোবিন্দ হালদারের ছেলে গৌতম হালদার (৩৬)।

এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে অস্ত্র দেখিয়ে হত্যার ভয় দেখানোর দায়ে আরও সাত বছর করে কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জোর করে ঘরে ঢোকার দায়ে তিন বছর করে কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় বিধু সিকদার ও সুব্রত সমাদ্দার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। গৌতম হালদার এখনো পলাতক। 

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৪ আগস্ট রাতে বিধু সিকদার, সুব্রত সমাদ্দার এবং গৌতম হালদারসহ চারজন ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকার সময় পরিবারের লোকজনের ঘুম ভেঙে যায়। তখন আসামিরা ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে পরিবারের লোকজনকে জিম্মি করে এবং গৃহবধূর স্বামীকে বেঁধে ফেলে। এরপর চারজন পর্যায়ক্রমে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে আসামিরা স্বর্ণালংকারসহ ঘরের মালামাল লুট করে চলে যায়।

এ ঘটনায় গৃহবধূর শ্বশুর বাদী হয়ে ওই বছরের ২১ আগস্ট নেছারাবাদ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তারপর ১২ অক্টোবর ২০০৭ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নেছারাবাদ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল ইসলাম তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক সোমবার রায় দেন। 

0Shares
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত