পদত্যাগ করতে চাপের মুখে মে
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০১৭, ১৬:২৪
যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পথে, এখন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে তাকে প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে। বিবিসি জানাচ্ছে, থেরেসা মের পদত্যাগের সম্ভাবনা ‘আধাআধি’।
আসন বাড়াতে উল্টো সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন থেরেসা মে। বিপরীতে বিরোধী দল লেবার পার্টিকে আরও শক্তিশালী করে দিয়েছেন।
ক্যামেরন লেবার দলের সঙ্গে এক শ আসনের যে ব্যবধান রেখে গিয়েছিলেন, থেরেসা তা অর্ধেকে নামিয়ে এনেছেন। সরকারে না গেলেও প্রত্যাশার চেয়ে বেশ ভালো করেছে লেবার পার্টি।
যুক্তরাজ্যের পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালে। ৩৩০ আসন নিয়ে সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল কনজারভেটিভ পার্টির। নির্বাচনের কোনো প্রয়োজন না থাকলেও প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ইচ্ছা মাফিক ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ) নিজের ক্ষমতাকে আরও নিরঙ্কুশ করতে হুট করে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেন। মে শতাধিক আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবেন বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু নতুন করে আসন জেতা দূরের কথা, উল্টো তিনি ১১টি আসন হারিয়েছেন। যে কারণে ঝুলে গেছে দলটির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা। এককভাবে সরকার গঠন করতে প্রয়োজন ৩২৬ আসন।
ঘোষিত ৬৪৭টি আসনের ফলাফলে কনজারভেটিভ পেয়েছে ৩১৬ আসন। লেবার দল পেয়েছে ২৬১ আসন। স্কটিশ জাতীয়তাবাদী দল ৩৫টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দল ১২টি আসন পেয়েছেন। গ্রিন পার্টি ১টি ও অন্যান্য দল পেয়েছে ২২টি আসন।
লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিন তার ইজলিংটন নর্থ আসনে বিজয়ী ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেরেসা তার নেতৃত্ব শক্তিশালী করতে জনরায় চেয়েছেন। কিন্তু আসন হারিয়েছেন। ভোট হারিয়েছেন। সমর্থন হারিয়েছেন। তিনি যে জনরায় পেয়েছেন, তা তার সরে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
জনগণের প্রত্যাশিত সরকার গঠনে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য থেরেসার বিদায় নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন করবিন।