ব্রিটেনের ম্যানচেস্টারে কনসার্টে হামলা: কী জানা যাচ্ছে?
প্রকাশ : ২৩ মে ২০১৭, ১৮:৩৮
যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০জন। তাদের ম্যানচেস্টারের ৬টি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অ্যারিয়ানা গ্রান্ডে কনসার্টের ওই হামলাকে এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসী হামলা বলেই মনে করা হচ্ছে।
সোমবার (২২ মে) স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে ম্যানচেস্টার অ্যারেনায় মার্কিন সংগীতশিল্পী অ্যারিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্টে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
হামলার পর প্রত্যক্ষদর্শী অ্যান্ডি হলি বলেন, তার স্ত্রী ও কন্যা ওই কনসার্টে গিয়েছিলেন। তাদের আনতে গিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। হঠাৎ করেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। আমি বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে পড়ি। পরে বুঝতে পারি, ভয়ংকর কোনো ঘটনা ঘটেছে। সেখানে আগুন জ্বলছে। হতাহত রক্তাক্ত লোকজনের মধ্যে আমি স্ত্রী-কন্যাকে খুঁজতে থাকি। তাদের না পেয়ে পুলিশের কাছে যাই। শেষ পর্যন্ত স্ত্রী-কন্যাকে খুঁজে পেয়েছি। তারা ভালো আছে।’
বিবিসি বাংলা বিভাগের সম্পাদক সাবির মুস্তাফা লন্ডন থেকে জানান, বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলের নেতার ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকা থেকে যে খবর আসছে সেখানে বলা হচ্ছে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করছেন এটি 'আত্মঘাতী হামলা'।
যখন হামলাটি হয় তখন আমেরিকান পপ সিঙ্গার ২৩ বছর বয়সী অ্যারিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্ট শেষ। তার অনুসারীরা যারা তাদের বেশিরভাগই টিনএজার। ফলে অনেক অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েরা সেখানে ছিলেন। নিহত ও আহতদের মধ্যে অনেক অল্প-বয়সী ছেলে-মেয়েরা থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে সে সম্পর্কে এখনো পুলিশের কাছে উল্লেখযোগ্য কোনও তথ্য না থাকলেও, আগামি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ব্রিটিশ পুলিশ হয়তো হামলাকারীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে বলে মেন করা হচ্ছে।
এদিকে হামলার পর পরই জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সমর্থকরা অনলাইনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। যুক্তরাজ্যভিত্তিকক জঙ্গি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ সংস্থা ‘জিহাদওয়াচ’ আইএসের একটি টুইটের বরাতে জানায়, এ হামলা এক নতুন শুরুর ইঙ্গিত। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দাপ্তরিকভাবে এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি আইএস।
প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তার নির্বাচনী প্রচারনার সব কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। এই হামলার প্রেক্ষাপটে সরকারের জরুরি কোবরা কমিটির সঙ্গে এক বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন তিনি।
থেরেসা মে বলেছেন ম্যানচেস্টারে হামলার ঘটনাটা কীভাবে ঘটলো সেই বৃত্তান্ত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে"। এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের পাশে আমরা আছি।
লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ম্যানচেষ্টারের ঘটনা একটা ভয়াবহ ঘটনা।
তিনি এই বিস্ফোরণে আক্রান্তদের সবার প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং যারা সেখানে জরুরী সহায়তা দিচ্ছেন তাদের প্রশংসা করেছেন।
সূত্র: বিবিসি বাংলা